শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কট থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দান-খয়রাতির রাজনীতি ছাড়তে হবে, নাহলে অচিরেই লঙ্কার মতো অবস্থা হবে দেশের। সর্বদলীয় বৈঠকে এইভাবেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে শ্রীলঙ্কার সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় রাজ্যগুলির খয়রাতি রাজনীতি নিয়ে কথা উঠেছে।
এদিনের বৈঠকে সরকার পক্ষ তেলেঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অবস্থা, ঋণের বহর নিয়ে আলোচনা তুলতেই বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। শ্রীলঙ্কার সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় কেন ভারতের রাজ্যগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন," শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী হিসাবে ভারত সেদেশের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে চিন্তিত। সর্বদলীয় বৈঠক প্রত্যেককে যোগ দিতে অনুরোধ করার কারণ হল সেদেশের পরিস্থিতি গম্ভীর এবং অপ্রত্যাশিত। কিন্তু এই সঙ্কট নিয়ে আমাদের ভাবার কারণ আছে। শিক্ষাও নেওয়ার আছে।"
আরও পড়ুন মোদী জমানায় দেশ ছাড়ার হিড়িক, তিন বছরে ৩.৯ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন
জয়শঙ্কর বৈঠকে জানান, "অনেকেই শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতের তুলনা টানছেন। ভারতেও এমন অবস্থা হতে পারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়ার আছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা, দায়িত্ববান প্রশাসন এবং দান-খয়রাতিতে রাশ টানলে এমন অবস্থা এড়ানো যাবে।"
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের বিনামূল্যের পরিষেবা নিয়ে কটাক্ষ করেন। তার পরই এদিনের বৈঠকে একই প্রসঙ্গে তোলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য জয়শঙ্কর। ভোটের বিনিময়ে খয়রাতির রাজনীতি বিজেপি করে না বলে দাবি করেছিলেন মোদী।
আরও পড়ুন মোদী-যোগীর ছবি ময়লার গাড়িতে, ক্ষমা চাইতেই চাকরি ফিরল সাফাইকর্মীর
বৈঠকে জয়শঙ্করের কথার তীব্র বিরোধিতা করেন ডিএমকের টি আর বালু, টিআরএস-এর কে কেশব রাও। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন চালাচ্ছিল কেন্দ্র। সেটি মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় সরকার। বালু বলেন, "আমরা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে নয়।" প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এই বৈঠকে ছিলেন। তিনিও শ্রীলঙ্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বলেন জয়শঙ্করকে।