মাইসুরু বাস স্টপে তিনটি বিতর্কিত গম্বুজের মধ্যে দুটিকে সরিয়ে ফেলা হল। শনিবার গভীর রাতে ওই দুটি গম্বুজ সরানো হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারা গত কয়েকদিন ধরে এই গম্বুজগুলো নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন। উটি রোডের জেএসএস কলেজের কাছে বাস স্টপের ওপরে ছিল গম্বুজগুলো। স্থানীয় বিধায়ক এসএ রামদাসের মতে, এই গম্বুজগুলো মাইসুরু প্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, মাইসুরু-কোদাগু এলাকার সাংসদ প্রতাপ সিমহা আবার ওই গম্বুজ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে, প্রতাপ সিমহা এই ইস্যুটি প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করেছিলেন। তাঁর দাবি, ছিল দুটি ছোট গম্বুজের পাশে একটি বড় গম্বুজের এই কাঠামো আদতে 'মসজিদ' ছিল। যা তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙে ফেলবেন। গম্বুজগুলো সরানোর পর অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতাপ সিমহা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বন্দুকগুলো চালাননি। কারণ, প্রশাসন বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য তাঁর কাছে সময় চেয়েছিল। সেই মত প্রশাসন নিজের কথা রেখেছে বলেও জানান মাইসুরু-কোদাগু এলাকার সাংসদ।
আরও পড়ুন- জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে চিনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, পথে নেমে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধিতা নাগরিকদের
পালটা স্থানীয় বিধায়ক রামদাস জানিয়েছেন, বিষয়টির সঙ্গে অযথা সাম্প্রদায়িক ব্যাপার জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে তিনি আঘাত পেয়েছেন। কারণ, বিধায়ক রামদাসের দাবি ছিল, 'এই গম্বুজ মাইসুরু শহরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে। এই গম্বুজ আসলে মাইসুরু প্রাসাদের আদলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কিছু লোক নকশাটি বুঝতে না-পেরে ওই গম্বুজকে মসজিদের মত নির্মাণ বলে দাবি করছে।'
তবে, এসএ রামদাস আদৌ বিষয়টিতে আঘাত পান, ছাই না-পান, তাঁর কথা প্রশাসন মানেনি। উলটে, সাংসদের কথাকেই গুরুত্ব দিয়েছে। এতে দলের মধ্যেই সাংসদের সঙ্গে ক্ষমতার টক্করে নিশ্চিতভাবে তিনি পিছিয়ে পড়লেন। যাঁদের মধ্যে ওই গম্বুজ নিয়ে বিরোধ, তাঁরা দু'জনেই একই দল বিজেপির সদস্য। সেকথা মাথায় রেখে এই ঘটনাকে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব বা কোন্দল ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Read full story in English