/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/cats-259.jpg)
BBC-এর বির্তকিত তথ্যচিত্র স্ক্রিনিং নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে JNU-তে। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও BBC-এর বির্তকিত তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এদিকে বির্তকিত তথ্যচিত্র স্ক্রিনিং নিয়ে সতর্ক দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখার জন্য তথ্যচিত্রের স্ক্রীনিংয়ের আয়োজনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এই ধরনের ‘প্রতিবাদের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার এবং ইউটিউবকে বিবিসি ডকুমেন্টারির লিঙ্কগুলি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, দাবি করা হয়েছে তথ্যচিত্রে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক বিষয়কে "প্রপাগান্ডা অংশ’ এবং তথ্যচিত্রে ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে, একাধিক ছাত্র সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলির যুব শাখা বিভিন্ন রাজ্যের কলেজ ক্যাম্পাসে তথ্যচিত্র স্ক্রীনিং করাকে তাদের সরকার বিরোধী কার্যকলাপের অংশ বলেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখার জন্য তথ্যচিত্র প্রদর্শনের কোন অনুমতি দেয়নি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।
Join For the BBC Documentary Screening of "India : The Modi Question"
Tomorrow at 5PM ,at Art's faculty gate no 4, Delhi University
Bhim Army Student Federation, Delhi University#BBCdocumentrypic.twitter.com/DDuBTo7QTR— Bhim Army Student Federation DU (@basf_du) January 26, 2023
বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বহু জায়গায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। জেএনইউ-তেও তথ্যচিত্রকে কেন্দ্রকরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। এসএফআই আগামী ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করেছে বলেই খবর। জেএনইউতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে ধুন্ধুমার, ছোঁড়া হয় পাথর, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুয়ারা মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের কথা ঘোষণা করে। তবে এই ‘স্ক্রিনিংয়ের’ আগেই ‘ছাত্র ইউনিয়ন অফিসে’ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এবিভিপি ও বামপন্থী ছাত্রদের মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি পুলিশের। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই সিরিজটি ভারতে উপলব্ধ নয়, তবে এর লিঙ্কগুলি ইউটিউব এবং টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ডকুমেন্টারির পর্ব সম্বলিত ইউটিউব ভিডিও এবং টুইটার লিঙ্কগুলি ইতিমধ্যেই ব্লক করেছে। এছাড়াও, বিদেশ মন্ত্রক ডকুমেন্টারিটিকে ‘প্রচারের অংশ’ বলে অভিহিত করেছে। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে এতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং এটি একটি ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিপ্তে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।