হিজাব বিতর্কের মধ্যেই ভিন্ন চিত্র কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরের একটি স্কুলে। যেখানে পড়ালেন সরকারি আমলা, আর হিজাব খুলে ক্লাস করল ছাত্রীরা। সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতর পরিচালিত এই স্কুলে মুসলিম পড়ুয়ারাদের অবাক করে ক্লাস করালেন ডেপুটি কমিশনার কে এন রমেশ। ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে ত্রিভূজ-কোণ এঁকে পড়ালেন ত্রিকোণমিতি।
গত বুধবার ইন্দাভারার মৌলানা আজাদ মডেল স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন রমেশ। তার পর অভিভাবকদের সঙ্গেও একপ্রস্থ কথা বলেন তিনি। তিনি তাঁদের জানান, হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে তা ঠিকই কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়া এটা সাময়িক বিষয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা। সেটার জন্য ক্ষতি না হয়। সামনেই পরীক্ষা, তাই পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন আইএএস আধিকারিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার হাকায় অক্ষয় মাচিন্দ্রা, এবং জেলার সিইও প্রভু জি।
বিতর্ক থেকে দূরে থেকে যাতে পড়ুয়ারা পড়াশোনায় মনোযোগ করে সেই পরামর্শই দেন রমেশ। তিনি বলেন, "আমি ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করি, কোন বিষয়ে কঠিন মনে হয়। ওরা বলল, ত্রিকোণমিতি একটু কঠিন। তার পর আমি ঠিক করি এটা নিয়ে ক্লাস নেব ওঁদের। ওঁরাও খুশি হয়। এটা আসলে ছিল একটু আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে পড়ুয়ারা ক্লাস মিস না করে। ওঁরাও ক্লাসে আসছে, পরীক্ষাও ভাল ভাবে দেবে আশা করি।"
আরও পড়ুন ইসলাম ধর্মে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়, হাইকোর্টে জানাল কর্ণাটক সরকার
এই আমলা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। এই স্কুলটি ১৬৭ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৫৩ জন মুসলিম। হিজাব পরে ক্লাস করার দাবি জানানোয় স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতর সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দেয়, আদালতের নির্দেশে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না।