যেভাবে দেশে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের' আক্রমণ বেড়ে চলেছে সেখানে চার চিকিৎসক একজোট হয়ে এই মিউকরমাইকোসিসেকে নিয়ে সম্প্রতি যে গবেষণা করেছেন সেখানে দেখা গিয়েছে মহিলাদের থেকে পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। অর্থাৎ এই ছত্রাকে সংবেদনশীল বেশি পুরুষরাই।
বিশ্বব্যাপী এবং ভারতে মামলার একটি নিয়মিত পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই গবেষণায় কোভিড -১৯ রোগীদের দেহে এর পর্যালোচনা করা হয়েছ। ১০১ জন রোগী বিশ্লেষণ করার পর দেখা গিয়েছে ৭৯টি ক্ষেত্রে তা পুরুষদের আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে যাঁদের ডায়াবেটিক রয়েছে ১০১টির মধ্যে ৮৩টি ক্ষেত্রে তাঁদের সংবেদনশীলতা বেশি প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন, কোভিড রোগীদের অন্ধ করে দিচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’! কেন এই রোগ হচ্ছে?
গবেষণাটি এলসেভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। কলকাতার জিডি হাসপাতাল ও ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট থেকে ডাঃ আদেশ কুমার সিংহ ও ডাঃ রিতু সিং, মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের ডাঃ শশাঙ্ক যোশি এবং নয়া দিল্লির ন্যাশনাল ডায়াবেটিস, ওবেসিটি এবং কোলেস্টেরল ফাউন্ডেশনের ডাঃ অনুপ মিশ্রা একসঙ্গে কাজ করেছেন। ভারতের ৮২ জন রোগী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯ জন এবং ইরানের ৩ জন রোগীর উপর এই গবেষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, করোনার কবলে বয়স্ক প্রাণ! কীভাবে ঝুঁকির মধ্যেও জীবন বাঁচাচ্ছেন প্রবীণেরা?
বর্তমানে কোভিড অতিমারির মধ্যেই মিউকরমাইকোসিসে ক্রমশ মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক মৃত্যুর (৯০ জন) খবর পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে ১০১ জন ব্যক্তির মধ্যে ৩১ জনই এই ছত্রাক আক্রমণে মারা গিয়েছেন। ৪১ জন প্রাণে বেঁচেছেন। ১০১ জনের মধ্যে ৮৩ জনের ডায়াবেটিস ছিল। তিন জনের ছিল ক্যানসার।
এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ শশাঙ্ক যোশীর কথায়, এদের মধ্যে ৭৬ জন রোগীর দেহে কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়োগ করা হচ্ছিল ইমিউনো সাপ্রেসন্ট হিসেবে। ২১ জনকে দেওয়া ছিল রেমডেসিভির এবং চার জন টসিলিজুমাভ মেডিসিন নিয়েছেন গবেষণা চলাকালীন। এরা প্রত্যেকেই করোনা অ্যাক্টিভ রোগী ছিলেন। তবে ডায়াবেটিস রয়েছে এমন রোগীর মৃত্যুই বেশি হয়েছে এই ছত্রাকের আক্রমণে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন