Advertisment

'সাফল্য আসবেই', আশাবাদী চন্দ্রযানের অন্যতম কারিগর চন্দ্রকান্তের বাবা-মা

বছর পনেরো আগে যেমন ছেলের পরীক্ষার রেজাল্টের দিন আশা-উৎকন্ঠা নিয়ে এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে থাকতেন কুমার দম্পতি এদিনটাও ঠিত তেমনই কাটল। তফাত বলতে সেদিনগুলি কাটত স্কুল বা বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে, আর এইদিন তাঁদের ছেলে চাঁদে পরীক্ষায় অবতীর্ণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Madhusudan and Asima Kumar

বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমারের বাব, মা

বছর পনেরো আগে যেমন ছেলের পরীক্ষার রেজাল্টের দিন আশা-উৎকন্ঠা নিয়ে এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে থাকতেন কুমার দম্পতি এদিনটাও ঠিত তেমনই কাটল। তফাত বলতে সেদিনগুলি কাটত স্কুল বা বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে, আর এইদিন তাঁদের ছেলে চাঁদে পরীক্ষায় অবতীর্ণ। বয়সের ভার এখনও তাঁদের তেমন কাবু করতে পারেনি। শুক্রবার গভীর রাতেও তাই বৃদ্ধ বৃদ্ধার চোখ ছিল টিভিতে। নজর ছিল সহশ্র মাইল দূরের চাঁদে। ছেলের সৃষ্টি দিয়েই চন্দ্র রহস্যভেদের শরিক হওয়ার অপেক্ষায় ঠায় বসেছিলেন ছিলেন ওঁরা। কিন্তু, তীরে এসে তরী ডুবতেই মুখের চোয়াল শক্ত চন্দ্রয়ান-২ -এর আরএফ সিস্টেমের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর চন্দ্রকান্ত কুমারের বাবা, মায়ের। তবে, আশা ছাড়ছেন না। 'সাফল্য আসবে'ই বলে মনে করছেন মধুসূদন ও অসিমা কুমার।

Advertisment

হুগলির শিবপুর গ্রামেই বেড়ে ওঠা চন্দ্রকান্ত কুমারের। গ্রামজুড়ে তাই আগ্রহ ছিল এলাকার ছেলের সাফল্য দেখার। তাই বিকল হযে য়াওযা টিভি মেরামতি করে আনাও হয়েছিল। রাত বাড়লেও ভিড় কমেনি শিবপুরের কুমার বাড়িতে। বৃদ্ধ দম্পতি বলছিলেন, 'ভাবতেই অবাক লাগছে, এতবড় কাজের অংশিদার আমাদের ছেলে।'

আরও পড়ুন: নিখোঁজ বিক্রম, ‘হতাশ’ ইসরোর পাশে গোটা দেশ

নিশ্চই মন ভালো নেই ছেলের। ভোরের আলো ফুটতেই নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিলেন মধুসূদন ও অসিমা। জানালেন, 'চন্দ্রকান্তের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। তারপর কাজের চাপ থাকবে বলে আর ফোন করা হয়নি।' শনিবার নিশ্চই ছেলের সঙ্গে কথা হবে? বৃদ্ধ-বৃদ্ধা চোখে তখন চিকচিক করছে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-২ অসফল, এসএলভি-৩ ব্যর্থতার পর কী বলেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালাম

মধুসূদন ও অসিমার দুই ছেলে। দুজনেরই নামের মানের সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক ওতপ্রতভাবে জড়িত। বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত ভারতের চন্দ্র অভিযানের শরিক। ছোট ছেলে শশীকান্তও বিজ্ঞানী। সে ইসরোতে কর্মরত। বাবা মধুসূদনের কথায়, 'এটা নেহাতই কাকতালীয়। তবে ওরা যে নামের সদ্ব্যবহার করেছে সেটা ভাল লাগছে।'

২০০১ সালে ইসরো-তে কাজ শুরু করেন কৃষকের ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্কুলজীবন শেষ করে তিনি ভর্তি হন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে। তুতো ভাই স্বপন কুমারের কথায়, 'দাদা প্রায় ৯-১০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে প্রত্যেকদিন স্কুলে যেত। বহু কষ্টে বড় হওয়া। কিন্তু, লক্ষ্যে অবিচল ছিল সে। দাদা সাফল্য পাওয়ার পর এখন গ্রামের অনেকেই তাঁদের সন্তানদের বিজ্ঞানী হিসাবে দেখতে আগ্রহী।'

Read the full story in English

national news
Advertisment