উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছিল। এই বছরের শুরুতে, পুষ্কর সিং ধামির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পরই ইউনিফর্ম সিভিল কোড আইন বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
দ্য সানডে এক্সপ্রেসের জেনেছে, এই কমিটি জনগণের মতামত নেওয়ার পর ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রতিবেদনে কিছু পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করেছে। লিঙ্গ সমতা, মহিলাদের বিবাহের বয়স, পৈতৃক সম্পত্তিতে কন্যাদের সমান অধিকার, এলজিবিটিকিউ দম্পতিদের আইনি অধিকার এবং লিভ-ইন সম্পর্কের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইউনিফর্ম সিভিল কোডের খসড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠিত কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। চলতি মাসের শেষ দিকে কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন কমিটির মেয়াদ থাকবে ২৭ মে ২০২৩ পর্যন্ত। একই সঙ্গে কমিটির কাছে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ পরামর্শ এসেছে।
আরও পড়ুন : < বেআইনি বুলডোজার, পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের >
ধামি সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বাস্তবায়নের জন্য খসড়া প্রস্তুত করতে চলতি বছর মে মাসে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের সভাপতিত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি ক্রমাগত আলোচনা করছে। কমিটির সামনে সমাজের সকল শ্রেণী ও সম্প্রদায় প্রকাশ্যে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তারপরে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলি খসড়া ইউসিসির একটি অংশ করা হবে। সূত্রের খবর, নারী-পুরুষের সমান অধিকার দেওয়ার বিষয়ে একটি মতামত উঠে এসেছে।
মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানো, পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার নিশ্চিত করা, এলজিবিটিকিউ দম্পতিদের আইনি অধিকার এবং লিভ-ইন সম্পর্কের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ কমিটিতে এসেছে। কেউ কেউ লিভ-ইন-রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্তিরও প্রসঙ্গের কথা তুলেছেন। যাতে এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত না হয়।