কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষরক্ষা হল না পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা রক্ষীর। শনিবার রাতেই মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে কাঁথি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল শুভব্রত চক্রবর্তীকে। রবিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকদের আপ্রান চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন এই স্যাফ কর্মী। সঙ্কটজনক অবস্থায় শুভব্রতকে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তবে কী করে ওই নিরাপত্তা কর্মীর মাথায় গুলি লাগল, তা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক রয়েই গেল। পুলিশ ঘটনার পরই মানসিক অবসাদের কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু শুভব্রতর পরিবারের সদস্যরা তা মানতে চাননি।
আরও পড়ুন: গুরগাঁওয়ের গুলিচালনার ঘটনায় মারা গেলেন বিচারকের স্ত্রী, আশঙ্কাজনক পুত্র
ঘটনার পর জেলা পুলিশের তরফে বক্তব্য ছিল, মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শুভব্রত। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, এমন কিছু আচরণ দেখা যায়নি যাতে বলা যায় যে শুভব্রত মানসিক অবসাদের শিকার ছিলেন।
শনিবার সকালে কাঁথি পুলিশ ব্যারাকে নিজের ঘরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শুভব্রতকে। নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়েই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁর মাথার ডান দিকে গুলি লাগে। পাঁচ বছর ধরে মন্ত্রীর দেহরক্ষীর কাজ করছিলেন শুভব্রত। রাজ্য বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন জঙ্গলমহলেও কর্মরত ছিলেন।
সবসময় হাসি-ঠাট্টা করেই কাটাতেন শুভব্রত। তবু কেন আত্মহত্যার চেষ্টা?
শুভব্রতর জ্যাঠতুতো দাদা তিলক চক্রবর্তী বলেন, "ওরা দুই ভাই, সন্তান, বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে মহিষাদলে থাকে। পরিবারের সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। আমরা সেরকম কিছুই বুঝতে পারিনি। হাসিঠাট্টা করে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতো। আমাদের পরিবারে ছোটখাটো অনুষ্ঠান হলেই আমরা সকলে একসঙ্গে মজা করতাম। কোনওদিন ঝগড়াঝাঁটি গন্ডগোল দেখিনি। একেবারে ছিমছাম ছেলে।" তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ "বৌমার" (শুভব্রতর স্ত্রী) সঙ্গে ওর কথা হয়েছে। তারপর ঘটনাটি ঘটে ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ। শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্না চক্রবর্তী পেশায় শিক্ষিকা।