মুসলিম মহিলাদের বিকৃত ছবি দিয়ে কুরুচিকর পোস্ট করার অভিযোগে সুল্লি ডিলস নামে ওয়েব অ্যাপের স্রষ্টা এক যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। রবিবার বছর ২৫-এর ওমকারেশ্বর ঠাকুর নামে যুবককে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছর এই অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের নিশানা করা হয়। তাঁদের বিকৃত ছবি ব্যবহার করে অনলাইনে নিলামের বন্দোবস্ত করার অভিযোগ ওঠে। এতদিন পর পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত।
এর আগে একইরকম একটি অ্যাপ বুল্লি বাই-য়ের স্রষ্টা এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় অসম থেকে। দিল্লির পুলিশের সাইবার সেলের ডিসিপি কে পি এস মালহোত্রা জানিয়েছেন, ইন্দোর থেকে ওমকারেশ্বর ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুল্লি ডিলস কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এই যুবক। জেরায় সে স্বীকার করেছে, গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মুসলিম মহিলাদের অসম্মানের মতলবে এই সুল্লি ডিলস নামে অ্যাপের কোড গিটহাবে তৈরি করে সে। সেই অ্যাপে গ্রুপের সদস্যদের অ্যাক্সেস ছিল। টুইটারে সেই অ্যাপের তথ্য সে শেয়ার করে সবার সঙ্গে। মুসলিম মহিলাদের ছবি গ্রুপে আপলোড করা হত।
গত বছর জুলাইয়ে ৫০-৮০ জন মুসলিম মহিলাকে নিশানা করে এই অ্যাপ। তার পর দিল্লি এবং নয়ডায় পুলিশের কাছে বহু মুসলিম মহিলা অভিযোগ করার পর গিটহাব অ্যাপটি নামিয়ে নেয়। মহিলাদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের বিকৃত ছবি ব্যবহার করে অনলাইনে তাঁদের নিলাম করা হচ্ছিল। শনিবার পুলিশ ইন্দোরে ধরে ঠাকুরকে। বিসিএ-র পড়ুয়া ঠাকুর ইন্দোরে আইপিএস অ্যাকাডেমির ছাত্র। কয়েকদিন আগে একইরকম একটি অ্যাপ বুল্লি বাই-য়ের স্রষ্টা নীরজ বিষ্ণোই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় অসম থেকে।
আরও পড়ুন পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় খামতি, পুলিশের FIR-এ নাম নেই মোদীর
এদিকে, ওমকারেশ্বরের বাবা অখিলেশ কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, আমি নাগড়ায় একটি অফিসের কাজে ছিলাম, সেইসময় দুজন আধিকারিক সাদা পোশাকে আমার বাড়িতে আসেন। ওমকারেশ্বরের খোঁজ করেন তাঁরা। তার পর ওমকারেশ্বরকে বলেন, নিজের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যেতে। সন্ধে সাতটার বিমান তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আমার মনে হয় ওকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ এই গ্রেফতারির ঘটনায় কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেছেন, এই অল্পবয়সী ছেলেরা হল মামুলি সৈন্য। বড় হাঙড়গুলো এঁদের মাথায় বিষ দিচ্ছে আর টাকা দিয়ে এসব করাচ্ছে। রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে।