বরিস জনসন ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনিই ছিলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী। সেই সময় সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সুনাক। কিন্তু, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সেই জন্য যাবতীয় দায় গিয়ে পড়েছিলেন জনসনের কাঁধে। যা নিয়েই সুনাকের সঙ্গে জনসনের বিরোধিতার সূত্রপাত। এমনটাই অভিযোগ ছিল জনসনের ঘনিষ্ঠদের।
সেই বরিস জনসন, লিজ ট্রাসদের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। আর, ক্ষমতায় আসীন হয়েও তিনি স্পষ্ট করে দিলেন যে জনসনের জমানায় যে আর্থিক পথে তিনি হেঁটেছিলেন, সেই পথেই এবারও হাঁটবেন। আর, সেই পথ হল সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় কমানো। তারই সূত্র ধরে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী দুই বছরের জন্য বিদেশি দেশগুলোকে ব্রিটেনের আর্থিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ব্রিটেন তার জাতীয় আয়ের ০.৫ শতাংশ বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্যের জন্য ব্যয় করত। সেটাই তিনি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন। এর আগে জনসনের জমানায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে ওই ব্যয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুনাক। সেই সময় তাঁর যুক্তি ছিল, করোনা অতিমারি ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গভীর আঘাত হেনেছে। সেই কারণে তিনি বিদেশি দেশগুলোর উন্নয়নে ব্যয় বন্ধ করেছেন। করোনা অতিমারী অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর যখন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রশ্ন উঠে আসে, সেই সময়ও কিন্তু ফের তা চালু করেননি সুনাক। এরপর শনিবার প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সরকারের নতুন নির্দেশ।
আরও পড়ুন- কপাল ফিরবে ব্রিটেনের? ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিকে অগ্রাধিকার সুনাকের
এই ব্যাপারে ব্রিটেনের অর্থ দফতরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী চ্যান্সেলর শরৎকালীন অধিবেশনের যাবতীয় খরচ বিবেচনা করবেন।' যার অর্থ, ব্যয় কমাতে আরও দাওয়াই দিতে পারেন সুনাক। এর আগে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন গত বছর সুনাক বলেছিলেন, বিদেশের পিছনে এতদিন যা ব্যয় হয়েছে, তা থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে তিনি লাভ তুলে নিয়ে আসবেন।
তাতে ব্রিটেনের আর্থিক উৎপাদনের ০.৭% চাহিদা মিটে যাবে। এখন ব্রিটেনের অর্থ দফতর সূত্রে খবর সুনাকের সরকার ২০২৬-২৭ পর্যন্ত বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে দেওয়া আর্থিক সহায়তা বন্ধের কথা ভাবছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এমনই কিছু কড়া দাওয়াইয়ের পথে হাঁটছে ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রীর সরকার।
Read full story in English