প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী ফালি এস নরিমান। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ৯৫ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী নরিমন। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
নরিমান ১৯৫০ সালে বম্বে হাইকোর্ট থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আইনের পেশায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। এর পরে তিনি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসাবেও নিযুক্ত হন। নরিমান তাঁর অসামান্য কাজের জন্য ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে পদ্মভূষণ এবং ২০০৭ সালে পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।
নরিমান তাঁর দীর্ঘ আইন জীবনে অনেক ঐতিহাসিক মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্তে তিনি মোটেও খুশি ছিলেন না। লাইভ ল-এর রিপোর্ট অনুসারে, ইন্দিরা সরকারের জারি করা জরুরি অবস্থার প্রতিবাদে নরিমান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম পদ্ধতির অন্যতম স্রষ্টাও বলা হয় তাঁকে সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে তিনি দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। ৩৭০ ধারা বাতিল সুপ্রিম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সমালোচনা করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি নরিমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। নরিমান ১৯৯১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জেনিভায় ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ জ্যুরিস্টের এগজিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবেও তিনি তাঁর দায়িত্ব সামলেছেন।