Advertisment

গুজরাত উপকুলে আছড়ে পড়ল তাওকতে, আগামি দুই ঘণ্টা চলবে তাণ্ডব

ইতিমধ্যেই গুজরাতের পোরবন্দর ও আশেপাশের জেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Cyclonic Storm Yaash, odisha, Bengal, Nabanna, Bay of Bengal, Andaman Sea

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস মতোই গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় তকতে। শনিবার শক্তি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরি‌ণত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার কিছু পরেই তা আছড়ে পড়ে গুজরাত উপকূল এবং দিউ এলাকায়। ইতিমধ্যেই সেই সব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছেন, ‘‘ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে আগামী দু’ঘণ্টা ধরে।’’

Advertisment

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই গুজরাতের পোরবন্দর ও আশেপাশের জেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদে। প্রশাসনের আশঙ্কা, পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, গির সোমনাথ, ভাবনগরের উপকূল ও আমদাবাদের উপকূল এলাকায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ১১টি নৌ-বাহিনী, ১২টি বন্যা মোকাবিলা বাহিনী এবং মেডিক্যাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে ওই রাজ্যে।

গুজরাতের এক সরকারি আধিকারিক জানান, গত ২০ বছরে এই তকতে-ই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এর আগে ১৯৯৮ সালে একটি ঘূর্ণিঝ়ড় তাণ্ডব চালিয়েছিল গুজরাতে। সে বারে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় চার হাজার মানুষের।

শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে।

শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী মোদী। ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায় তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করতেও বলেন। দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

Super Cyclone Tauktae gets landfall in Gujrat coast, National:  

gujrat IMD
Advertisment