করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে হেপাটাইটিস সি-এর প্রতিষেধক

হেপাটাইটিস সি এবং সারস-কোভ-২ ভাইরাস আসলে একই ধাঁচের। এরা দুজনেই সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস।

হেপাটাইটিস সি এবং সারস-কোভ-২ ভাইরাস আসলে একই ধাঁচের। এরা দুজনেই সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একটি নয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে হেপাটাইটিস সি-এর একাধিক প্রতিষেধক। সারস-কোভ-২ ভাইরাসের ফলে যে রোগের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্ব সন্ত্রস্ত, সেই কোভিড-১৯ ভাইরাসকে দমন করতেই সামনে এল এই তথ্য। সুপারকম্পিউটার স্টিমুলেশনকে ব্যবহার করে একাধিক হিসেবের পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গবেষকরা।

Advertisment

বিশ্বে এখনও অব্যাহত করোনার দাপট। গবেষকরা এখনও জারি রেখেছে তাঁদের লড়াইও। জার্মানির গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনজ-এর গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ৪২ হাজার উপাদান এই ভাইরাসের প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবদেহে ভাইরাসের প্রবেশ এবং বৃদ্ধিকে আটকাতে সক্ষম। সেই মোতাবেক তাঁরা একটি তথ্যতালিকাও তৈরি করেছেন। এমনকি MOGON II নামে একটি শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারের সাহায্যে গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনজ এবং হেলমহোটজ ইনস্টিটিউট মাইনজ-এর গবেষকরা দু'মাসের মধ্যে ৩০ কোটি সিঙ্গেল ক্যালকুলেশনও করেছেন।

তাঁরা দেখেন যে হেপাটাইটিস সি-এর চারটি ড্রাগস যেমন সিমেপ্রেভির (simeprevir), প্যারিটাপ্রেভির (paritaprevir), গ্রাজোপ্রেভির (grazoprevir) এবং ভেলপাটাসভির (velpatasvir) এগুলি সারস কোভ-২ ভাইরাসের সঙ্গে সহজেই যুক্ত হতে পারে এবং সেই কারণে এই ওষুধ প্রয়োগে করোনার যে বৃদ্ধি তা রোধ করা যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বুলেটিনের প্রধান এবং গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনজ-এর প্রফেসর থমাস এফার্থ বলেন, "এই কম্পিউটার স্টিমুলেশন পদ্ধতিটিকে বলা হয় মলিকুল্যার ডকিং। এটি অনেক বছর ধরে চলে আসছে এবং ব্যবহারও করা হচ্ছে। অন্যান্য ল্যাবের পরীক্ষাপদ্ধতি থেকে এটিতে কম খরচে দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা করা যায়।"

Advertisment

এফার্থ এও বলেন, "যতদূর আমরা জানি, সর্বপ্রথম সারস-কোভ-২ এ এই মকিক্যুলার ডকিং ব্যবহার করেছি। সেখান থেকেই জানতে পেরেছি যে হেপাটাইটিস-সি-এর ড্রাগগুলি কীভাবে এই ভাইরাসের সঙ্গে কাজ করছে।" প্রসঙ্গত, হেপাটাইটিস সি এবং সারস-কোভ-২ ভাইরাস আসলে একই ধাঁচের। এরা দুজনেই সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ ভাইরাস। তাই একজনের প্রতিষেধকে অপরজনকে রোধ করা গেলেও যেতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন থমাস এফার্থ।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus