/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/Mar19-Mothersuperior-4col.jpg)
মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার মেরি জোসেফ। ছবি- পার্থ পাল
রাশিয়া ইউক্রেনের সংকটের মধ্যে বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসিনী ইউক্রেনে থেকে আর্তদের সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করেছেন। এমনকী তাদের সেবার কারণে দেশ ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। এবার সেই সকল সন্নাসিনীদের হয়ে মুখ খুললেন, কলকাতার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার মেরি জোসেফ। তিনি শনিবার বলেন, "আমাদের অনেকেই ইউক্রেনে অসহায় মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তাদের সেবা করার জন্য দেশ ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন সেই সকল সনাসিনী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে তাদের পাশে না থাকলে তাদের সেবা করবেই বা কারা"!
সিস্টার জোসেফের জন্ম কেরলে তিনি ২০ বছর বয়সে মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে যোগদান করেছিলেন। সিস্টার জোসেফের আগে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সুপিরিয়র জেনারেল ছিলেন সিস্টার প্রেমা। মাদার টেরেসার প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি ১৩ বছর ধরে চালিয়েছেন তিনি। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির মুখপাত্র সুনিতা কুমার সংবাদমাধ্যমের কাছে নতুন সুপিরিয়র জেনারেলের কথা জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সিস্টার ক্রিস্টি, দ্বিতীয় কাউন্সিলর সিস্টার সিসিল, তৃতীয় কাউন্সিলর সিস্টার মেরি জুয়ান এবং চতুর্থ কাউন্সিলর সিস্টার প্যাট্রিক।
আরো পড়ুন: চরম আক্রমণ শুরু রাশিয়ার, পরপর বিস্ফোরণে ইউক্রেনে মৃত্যুমিছিল
সিস্টার জোসেফ এর আগে কেরলের মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রিজিওনাল সুপিরিয়র ছিলেন। কলকাতাতেও আগে কাজ করেছেন। মাদার টেরেসার পর কলকাতার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তৃতীয় প্রধান হলেন তিনি। তাঁর পূর্বসূরীরা হলেন সিস্টার নির্মলা এবং সিস্টার প্রেমা।মিশনারিজ অফ চ্যারিটির (Missionaries of Charity) সুপিরিয়র জেনারেল পদে এলেন সিস্টার জোসেফ (Sister Joseph)। শনিবার এই পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের সংকট ২৫ তম দিনে পড়ল। একের পর হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইউক্রেনের মাকারিভ শহরে রাশিয়ার মর্টার হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে পাঁচ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই সাধারণ নাগরিক বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে হাইপারসনিক কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। ওডেসার কাছে ইউক্রেন সেনার রেডিও কার্যালয়ও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে বলেই জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে রাস্ট্র সংঘ জানিয়েছে ইতিমধ্যে যুদ্ধের কারণে দেশ ছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন।
Read story in English