নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নীতি স্থির করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ এ ব্যাপারে কেন্দ্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, জম্মু ও কাশ্মীর এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নোটিস জারি করেছে। এ ব্যাপারে আদালতে আবেদন করেছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত এবং এক চাকুরিরত সিআরপিএফ জওয়ানের দুই কন্যা।
আরও পড়ুন, রাফাল রায় পুনর্বিবেচনায় সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের
১৯ বছরের প্রীতি কেদার গোখলে এবং ২০ বছরের কাজল মিশ্র বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনী ও সেনা কনভয়ের উপর পাথর ছোড়ার ঘটনায় তাঁরা অত্যন্ত বিব্রত।
আবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পাথর ছোড়ার ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাতে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
আবেদনকারীরা বলেছেন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বা আত্মরক্ষার জন্য পাথর ছুড়িয়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে, সে জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
পিটিশনে বলা হয়েছে, "বর্তমান আইন অনুসারে কোনও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী যদি কোনও অপরাধ করেন, সে নিয়ে অভিযোগ বা এফআইআর দায়ের হলে আবেদনকারীদের কোনও আপত্তি নেই। তবে যারা হিংসায় মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও অভিযোগ না দায়ের হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ"।
এ ব্যাপারে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জম্মু কাশ্মীর সরকারের মোট ৯০০০ এফআইআর প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পিটিশনে।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীর সরকার ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে দায়ের হওয়া মোট ৯৭৩০টি এফআইআর প্রত্যাহার করে নেয়। বিধানসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার ৪০০০ জনকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।
ওই বছরেরই জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং শ্রীনগরে ঘোষণা করেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যেসব বিপথগামী যুবক পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবে।"
Read the Full Story in English