ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবার মহিলাদের বসার অনুমতি দল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে বুধবার সেনাবাহিনীকেও তিরস্কার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এনডিএ-তে মহিলাদের বসতে না দেওয়ার বিষয়টি লিঙ্গবৈষম্যের সামিল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কো-এডুকেশনে সেনার কী আপত্তি তা জানতে চেয়েছে আদালত।
এনডিএ ও ন্যাভাল আ্যাকাডেমির পরীক্ষায় মেয়েদের বসার পক্ষে নয় কেন্দ্র। ছেলে মেয়েদের পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ সম্ভব নয় বলে দাবি করা হয়। মোদী সরাকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। বিচারপতি কিষাণ কৌল ও হৃষিকেশ রায়ের এজলাসে এদিন ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবার মহিলাদের বসার অন্তর্বতী আদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, এনডিএ-তে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ফলাফলই চূড়ান্ত। রায় কার্যকর করতে ইউপিএসসি-কে বিজ্ঞপ্তি জারিরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর নীতি লিঙ্গবৈষম্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর জবাবে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানিয়েছেন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিনটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য দু'টি বিকল্প রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন। এই দু'টি হল ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি ও অফিসারস ট্রেনিং অ্যাকাডেমি। নীতিগত ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে এই ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল যে, যেসব মহিলা সেনাবাহিনীতে ১৪ বছরের বেশি কাজ করছে তাদের স্থায়ী কমিশনের আওতায় আনতে হবে। কোনও মতেই লিঙ্গ বৈষম্য মানা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি কৌল বলেছেন, আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া সেনাবাহিনী "স্বেচ্ছায় কিছু করায় বিশ্বাসী নয়।" এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, সেনার কমব্যাট উইং ফোর্সেও পুরুষদের মতই মহিলারাও কাজ করতে পারবে। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এই নির্দেশের উল্লেখ করে বিচারপতি কৌল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন