সমীক্ষায় ফারাক ২ লক্ষের; হোমের বাকি শিশুরা কোথায়? কপালে ভাঁজ সুপ্রিম কোর্টের

শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, হোমে, অনাথ আশ্রমে শিশুদের ওপর নিগ্রহ, খাবার না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখার মতো বিষয় সামনে এসছে একাধিকবার।

শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, হোমে, অনাথ আশ্রমে শিশুদের ওপর নিগ্রহ, খাবার না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখার মতো বিষয় সামনে এসছে একাধিকবার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চার দোষীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

শিশু বঞ্চনার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন ঘটনাটি নজরে আসে সুপ্রিম কোর্টের। দুটোই সরকারি নথি। অথচ হিসাবের বিস্তর ফারাক দুই নথিতে। ২০১৬-১৭-তে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড (NCPCR)-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত সমীক্ষার হিসাব বলছে দেশের অনাথ আশ্রম, হোমগুলিতে থাকা শিশুর সংখ্যা ৪.৭৩ লক্ষ। সমীক্ষা চালাতে সাহায্য করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'চাইল্ডলাইন'। অথচ চলতি বছরের মার্চ মাসে জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সংখ্যাটা ২.৬১ লক্ষ। সংখ্যার ফারাকটা বিশাল, ২লক্ষেরও বেশি।

Advertisment

শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, হোমে, অনাথ আশ্রমে শিশুদের ওপর নিগ্রহ, খাবার না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখার মতো বিষয় সামনে এসছে একাধিকবার। মঙ্গলবার এই রকমই এক মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মদন লকুরের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চের সামনে NCPCR -এর সমীক্ষার হিসেব পেশ করেন আইনজীবী অপর্ণা ভাট।

দুটিই সরকারি হিসেব। অথচ সরকারের নিজের হিসেবের মধ্যেই সংখ্যার এমন তারতম্য চিন্তায় ফেলেছে সর্বোচ্চ আদালতকে।

publive-image প্রতীকী ছবি

Advertisment

নথিভুক্ত হওয়া হোমের সংখ্যার ফারকটাও এইদিন সামনে আনেন আইনজীবী ভাট। NCPCR-এর সমীক্ষা এবং সরকারের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশে অনাথ আশ্রম বা শিশুদের হোমের সংখ্যা যথাক্রমে ৯০০০ এবং ৮৭৩৪।

কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী আর বাল সুব্রামনিয়ম যদিও সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন NCPCR-এর সমীক্ষায় কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বেশি অনুদান পাওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখে শিশুদের সংখ্যা বাড়িয়ে বলে থাকতে পারে হোম কর্তৃপক্ষ।

supreme court