উত্তরপ্রদেশে বেছে বেছে এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নাগরিকদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে নির্দেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ নামে মুসলিম সংগঠন। সেই মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের পালটা প্রশ্ন, কীভাবে আদালত বেআইনি বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে নির্দেশ দিতে পারে? সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দেবে, তা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
দাঙ্গায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার নামে এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নাগরিকদের বাড়িই ভাঙা হচ্ছে। শুধু এই ক্ষেত্রে নয়, দেশে বেছে বেছে মুসলিম নাগরিকদের সম্পত্তির ওপরই হামলা চলছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই মুসলিম সংগঠন জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে রায় চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মূলত উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনাগুলোর ঘটেছে। ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
পালটা বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি পিএস নরসিমহার বক্তব্য, 'আমরা সবাই জানি যে আইন মানতে হবে। কিন্তু, আমরা কি কোনও সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোনও নির্দেশ দিতে পারি? যদি পুর আইন অনুযায়ী দেখা যায় যে কোনও বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে, সেক্ষেত্রেও কি পুরকর্তৃপক্ষকে রুখতে আইন কার্যকর হবে?'
আরও পড়ুন- দ্রৌপদী দেশের নেতিবাচক দর্শনের প্রতিনিধি, এনডিএ পদপ্রার্থীকে আক্রমণ কংগ্রেসের, পালটা সরব বিজেপিও
আবেদনকারীদের বক্তব্য, প্রবীণ আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে আদালতে জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে একজন ব্যক্তি অসমে অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত। তার বাড়িও ভাঙা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে দাভে বলেন, 'আমরা এই সংস্কৃতি চাই না। তাদের আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কেউ একজন অপরাধে অভিযুক্ত, সেই জন্য তাঁর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, এটা আমাদের সমাজে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, আমরা আইনের শাসন মেনে চলি।'
আবেদনকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন প্রবীণ আইনজীবী সিইউ সিং-ও। তিনি আদালতে জানান, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতেও বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা অন্যান্য জায়গাগুলোতেও ঘটছে। মাত্র তিনটে জায়গায় বাড়ি ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তার উত্তরের অপেক্ষা করা হয়নি। বাকি বাড়িগুলো বিনা নোটিসেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেই জানান সিইউ সিং। প্রবীণ আইনজীবী আদালতকে জানান, 'এমন বহু ঘটনা আছে, যেখানে পুলিশের কর্তারা বাড়ি ভাঙার কথা বলেছেন। আর, বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।'
Read full story in English