অধরা হিজাব নির্দেশ, বিচারপতিদের ভিন্নমত, সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে গেল মামলা

হিজাব পরা ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়। গত মার্চে এই রাায় দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।

হিজাব পরা ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়। গত মার্চে এই রাায় দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme Court delivers split verdict on karnataka hijab issue case now before CJI

হিজাব ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

হিজাব মামলায় ভিন্নমত দুই বিচারপতির। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।

Advertisment

হিজাব পরা ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়। গত মার্চে এই রাায় দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। যার সঙ্গে সহমত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। ফলে মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করার পক্ষে রায় দেন তিনি। বহাল রাখেন হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়াঁ মামলাকারীদের আবেদন অনুযায়ী হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেন।

গত ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়দানের পর বিতর্ক দানা বাঁধে। উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম ছাত্রীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। এরপর শুনানি শুরু হয়, যা চলে ১০ দিন। শেষে ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলায় নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াঁর ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisment

চলতি মাসের জানুয়ারিতে কর্ণাটকের উদুপির এক প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে কয়েক জন ছাত্রীকে হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ওই কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যে, হিজাব পরে মেয়েরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রী সহ একাংশ। হিজাব মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার বলে সোচ্চার হন তাঁরা। পাল্টা গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে দেন হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকটি সংগঠন। এই ইস্যুতে সংঘর্ষের ঘটনাও বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘটেছিল।

এই অবস্থার মধ্যেই গত ফেব্রুয়ারিতে পোশাক-নির্দেশিকা জারি করেছিল কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। সে রাজ্যের শিক্ষা আইন ১৯৮৩ মোতাবেক ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক পরেই পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। তবে যে সব কলেজে কোনও পোশাকবিধি নেই, সেখানে এমন কোনও পোশাক পরা যাবে না, যাতে শিক্ষাঙ্গনের ভারসাম্য, ঐক্য এবং শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আদালতে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছিল, ওই নির্দেশিকার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই। হিজাবের পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলগেরুয়া উত্তরীয়ও।

রাজ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে উদুপির কয়েক জন মুসলিম ছাত্রী কর্ণাটক হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। তাঁরা আদালতকে জানান, হিজাব পরা তাঁদের মৌলিক অধিকার। কোনও ভাবেই তা বাতিল করা যায় না। সেই মামলার শুনানিতে ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

supreme court Hijab Hijab row Hijab Controversy karnataka hijab row