Advertisment

হাইকোর্টকে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ফৌজদারি মামলায় বিপাকে সাংসদ-বিধায়করা

ট্রায়াল কোর্ট বিরল এবং বাধ্যতামূলক কারণ ছাড়া বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Supreme Court

পর্যবেক্ষণ ও বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট মোট সাতটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার হাইকোর্টগুলিকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হওয়া সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। কীভাবে এই প্রক্রিয়া চালাতে হবে, সেই ব্যাপারে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকাও জারি করেছে শীর্ষ আদালত। সংসদ ও বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদনের ওপর এই নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, 'এখানে একাধিক কারণ রয়েছে যা মামলার প্রাথমিক নিষ্পত্তিকে প্রভাবিত করে। রাজ্যভিত্তিক বিভিন্নতা একটি অভিন্ন নির্দেশিকা তৈরি করার কাজ কঠিন করে তোলে।'

Advertisment

বেঞ্চ বলেছে, 'উচ্চ আদালতগুলি প্রশাসনিক এবং বিচারের দিক থেকে বিষয়গুলো মোকাবিলা করছে। অনুচ্ছেদ ২২৭ অনুযায়ী, উচ্চ আদালতগুলি অধস্তন বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে। এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যা মামলাগুলির পর্যবেক্ষণের জন্য সমীচীন। এই ধরনের পদ্ধতিগুলি তৈরি করা বা এমন একটি ব্যবস্থা প্রয়োগ করার দায়িত্ব উচ্চ আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।'

একথা জানানোর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পর্যবেক্ষণ এবং বিচারের জন্য সাতটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানি করতে পরামর্শ দিয়েছে। অথবা, কোনও বেঞ্চকে দায়িত্ব দিতে বলেছে, যারা এই মামলার শুনানি করবে। এক্ষেত্রে বিশেষ বেঞ্চ, 'আদালতকে সহায়তা করার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেল বা পাবলিক প্রসিকিউটরকে দায়িত্ব দিতে পারে'। এমনটাই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

আরও পড়ুন- যমে-মানুষে লড়াই শেষ! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু জিমে আক্রান্ত ভারতীয় ছাত্রের

এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে হাইকোর্টগুলি এই জাতীয় মামলা উপযুক্ত বিবেচনা করে প্রধান জেলা ও দায়রা জজের এজলাসে ভাগ করে দিতে পারে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছে, খুনের অভিযোগ, যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে এমন অভিযোগকে বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তারপর ৫ বছর বা তার বেশি বছর কারাদণ্ড হতে পারে, এই মামলাগুলোর বিচার করা উচিত। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, 'ট্রায়াল কোর্ট বিরল এবং বাধ্যতামূলক কারণ ছাড়া মামলাগুলির বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করবে না।'

Parliament High Court MLA Criminal Cases Supreme Court of India
Advertisment