সুপ্রিম কোর্ট সোমবার হাইদারপোরা এনকাউন্টারে নিহত আমির লতিফ ম্যাগ্রেয়ের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। নিহত আমির লতিফের বাবার দায়ের করা শুনানি অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বলেছে যে একবার কবর দেওয়া হলে মৃতদেহ পুনরায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া উচিত কাজ নয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের জমা দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে মৃত আমির লতিফের দেহ সম্মানের সঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছে।
বেঞ্চ বলেছে যে আদালত একজন পিতার অনুভূতিকে সম্মান করে, কিন্তু আদালত অনুভূতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের দেওয়া ত্রাণটি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ছিল, মোহাম্মদ লতিফ ম্যাগ্রেয়ের দায়ের করা আপিল খারিজ করে। শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের কবরে প্রার্থনা করার অনুমতিও দিয়েছে।
এনকাউন্টারে নিহত আমির লতিফ ম্যাগ্রেয়ের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করেন। বেঞ্চ বলেছে, পূর্ণ রীতিনীতির সঙ্গে মৃতদেহ কবরের পর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খননের কোন অধিকার নেই।
শ্রীনগরের বিখ্যাত ও বিতর্কিত হায়দারপোরা এনকাউন্টার মামলায় আজ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানিকালে এনকাউন্টারে নিহত আমির মাগরির বাবার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। নিহত আমিরের বাবা আব্দুল লতিফ তার ছেলের লাশ কবর থেকে তোলার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। গত ২৭ আগস্ট এ বিষয়ে দেওয়া তার রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: < সোনালি ফোগাটের মৃত্যুতদন্ত সিবিআইকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, খুশি পরিবার >
ন'মাস আগে হায়দারপোড়ায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে চারজন নিহত হয়। পুলিশের দাবি ছিল মৃত চারজনই সন্ত্রাসবাদী। যার বিরোধিতায় সরব হয়েছিল লতিফের পরিবার। লতিফ ছাড়াও আরও ২জনের পরিবার সন্ত্রাসবাদী তকমার বিরোধিতায় সুর চড়ায়। তাদেরই একজন আমিরের বাবা আবদুল লতিফ মাগ্রে।
হাইকোর্টেও শুনানি হয়েছে
আমিরের বাবা আবদুল মাগ্রে এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তিনি তার ছেলের মৃতদেহ হাতে পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, পরে আদালত এক আদেশে জানায় পরিবারের সদস্যদের ছেলের মৃতদেহ শেষ দেখার অধিকার থেকে থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তবে এই আদেশে সরকার লাশ পচে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সেই আদেশ স্থগিত করে। এর পরে, হাইকোর্ট নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করে,এই আদেশের প্রেক্ষিপ্তে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেন আমিরের বাবা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তার এই আবেদন খারিজ করে।