জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা এলাকার পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি। সোমবার সেই পিটিশন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। পিটিশনে জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাস বাতিল করার আর্জি জানানো হয়েছিল। মামলা খারিজের জেরে স্বস্তি কেন্দ্রের। মোদী সরকারের করা পুনর্বিন্যাসই বহাল থাকল। যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে উপত্যকায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হবে।
২০১৯ সালে উপত্যাকাকে দুইভাগে ভাগ করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। বাতিল হয় ৩৭০ ধারা। উপত্যকার একটি অংশ জম্মু-কাশ্মীর এবং অন্যটি লাদাখ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হয়।
এরপর জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কেন্দ্রে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পুনর্বিন্যাসের জন্য একটি প্যানেল তৈরি হয়। ২০২২ সালের মে মাসে সেই কাজ সম্পন্নও হয়। যদিও সেই পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তোলে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। এই পুনর্বিন্যাসের নেপথ্যে আদতে পদম শিবিরের রাজনৈত্ক ফায়দার সমীকরণ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বৈধতাতে চ্যালেঞ্জ করে গত বছরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্রীনগরের দুই বাসিন্দা আবদুল গনি ও মহম্মদ আয়ুব। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, ২০১৯ সালের আইনের অধীনে, শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনই পুনর্বিন্যাসের কাজ পরিচালনা করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
সেই মামলাই সোমবার খারিজ করেছেন বিচারপতি স্ঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি এ এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি, ২০১৯ সালের জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সঙ্গে আবেদনকারীদের আর্জি ও যুক্তি যৌক্তিকতা নেই।
আসন পুনর্বিন্যাস শেষে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্রের আসন সংখ্যা হয়েছে ৯০। এর মধ্যে জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি বিধানসভা আসন ও কাশ্মীরে ৪৭টি। জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভার আসন ৫টি।