করোনার জেরে বিহার বিধানসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কবে হবে তা সম্পূর্ণ কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর এস রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ।
করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ছে। এদিকে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহার বিধানসভা নির্বাচের কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ভোট যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য কমিশনকে নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান অবিনাশ ঠাকুর। শুক্রবার সেই আবেদনই খারিজ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারী যুক্তি ছিলযে জন-প্রতিনিধিত্ব আইনে অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে নির্বাচন মুলতবির সংস্থান রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, এই ভোট স্থগিতের ভিত্তি হতে পারে না। এছাড়াও এ দিন আদালত জানিয়েছে যে, কমিশন এখনও ভোটের দিনক্ষণের কথা জানায়নি। তাহলে কেন ধরে নেওয়া হচ্ছে যে কেন ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে না।
বিহারে প্রত্যেকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলই চাইছে ভোট পিছিয়ে যাক। শাসক এনডিএ শিবিরের এলজেপিও একই দাবি জানায়। তবে বিজেপি ও জেডিইউ নির্ধারিত সময়ে ভোটের পক্ষে। উল্লেখ্য, করোনাকালে ভোটের গাইড লাইন প্রকাশ করেছে কমিশন।
এই গাইড লাইন অনুসারে, ২৪৩টি আসনের বিধানসভা ভোটে প্রত্যেক নথিভুক্ত ভোটারকে গ্লাভস দেওয়া হবে। ইভিএমে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের আগে সেই গ্লাভস পরতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লাভস মজুত থাকতে হবে আধিকারিকদের কাছে। যারা ইভিএমে ভোট পরিচালনা করছেন, তাঁদের কাছেই এই গ্লাভস রাখতে হবে। এছাড়াও আধিকারিকদের কাছে থাকবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যেসব ভোটারের সাথে শিশু থাকবে তাদের ফেসিয়াল পিপিই কিট দিতে হবে। চেহারা চিহ্নিতকরণের সময় শুধু খুলতে হবে মাস্ক। এক একটি পোলিং স্টেশনে ১৫০০ জন ভোটার নয়, ১০০০ জন করে ভোটার থাকবেন। প্রতিটি প্রবেশ পথে থাকবে থার্মাল স্ক্যানার। গোটা পোলিং স্টেশনকে স্যানিটাইজ করতে হবে ভোটের আগের দিন। টোকেন সরবরাহের জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হবে। যিনি আগে আসবেন, তিনি আগে টোকেন পাবেন, এই নীতিতে টোকেন দেওয়া হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন