বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের নির্বাচনী বন্ড বিক্রির উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্বাচনী বন্ড বিক্রিতে কোনও বাধা রইলো না।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুক্রবার রায়ে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। তাই হঠাৎ নির্বাচনী বন্ড বিক্রি বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই।
নির্বাচনী বন্ডকে হাতিয়ার করেইৃ দীর্ঘদিন ধরে অস্বচ্ছ উপায়ে ফায়দা তুলছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর তা রুখতেই কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় অ্যাসোশিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর। বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে তা বিক্রি আগামী ১ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করার দাবি জানানো হয় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের তরফে। আদালতে ভূষণ জানান, কে বির্বাচনী বন্ড কিনছেন, কোথায় সেটি হস্তান্তরিত হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয় নয়। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটাই অস্বচ্ছতাদোষে দুষ্ট। তাই, বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত তার বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হোক। আসন্ন ৫রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আবেদন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। যদিও এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
২০১৭ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিলেন। প্রতি আর্থিক ত্রৈমাসিকে ১০ দিন সময়কালের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে কেনা যাবে এই নির্বাচনী বন্ড। লোকসভা ভোটের বছরে বন্ড কেনার জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় থাকবে। শেষ লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে যে সমস্ত দল অন্তত ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তারাই এই সুযোগ পাবে।
বাজে উল্লেখ ছিল যে, সুদ বিহীন এই বন্ডগুলি বিভিন্ন মূল্যে (যেমন, ১০০০, ১০০০০, ১ লাখ, ১০ লাখ বা এক কোটি) পাওয়া যাবে। নির্বাচনী বন্ড যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কিনতে পারবে। এই বন্ড কিনতে ব্যাঙ্কের কাছে তাদের কেওয়াইসি তথ্য জমা দিতে হবে। পরে সেই বন্ড যেকোনও রাজনৈতিক দলকে দিতে পারবে সেই ব্যক্তি বা সংস্থা। সেই বন্ড তখন সে রাজনৈতিক দল ব্যঙ্ক থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবে। তবে সেই সময় রাজনৈতিক দলকে এটা প্রকাশ করতে হবে না যে কার থেকে সেই বন্ড তারা পেয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন