সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার গোধরা ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তকে জামিন দিয়েছে। গত ১৭ বছর ধরে ওই সাজাপ্রাপ্ত জেলেই আছে। সেকথা মাথায় রেখেই তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আর, তার প্রতিক্রিয়ায় গুজরাটজুড়ে ভয়ানক দাঙ্গা ছড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা আবেদনকারী ফারুকের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এই ট্রেন জ্বালানোর ঘটনায় ফারুকের পাশাপাশি আরও অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত। তাদের আবেদন অবশ্য এখনও অবধি ঝুলে আছে।
বৃহস্পতিবার মামলায় গুজরাট সরকারের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে বলেছিলেন, যে গোধরার ঘটনা দেশের জঘন্যতম অপরাধগুলোর একটি। ওই ঘটনায় ৫৯ জন করসেবক অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা এমনকী শিশুরাও ছিল। আর, সেই কারণে যে সাজাপ্রাপ্তরা তাদের সাজার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন, তাদের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে শোনার প্রয়োজন রয়েছে। ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রেনে আগুন লাগানোর আগে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তারা সবরমতী এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল। এই পাথর ছোড়া হয়েছিল এই কারণে যাতে, অগ্নিদগ্ধ ট্রেন থেকে যাত্রীরা বেরিয়ে আসতে না-পারে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের, অস্বস্তি বাড়ল কমিশন-নবান্নের
প্রত্যক্ষদর্শীরা এই মামলায় আদালতকে আগেই জানিয়েছেন, দমকলের গাড়ি এসেছিল সবরমতী এক্সপ্রেসের আগুন নেভাতে। সেই গাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর ছুড়েছিল ফারুক-সহ অন্য অপরাধীরা। যার জেরেই সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। আর, এর জেরে প্রাণ গিয়েছিল ৫৯ জনের। গোধরা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।
আর, এসবের প্রতিক্রিয়া ছিল গুজরাটের দাঙ্গা। যে দাঙ্গার অন্যতম অংশ ছিল গণধর্ষণ-কাণ্ড। যে ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন ইতিমধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তবে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে ওই অপরাধীরা বহুবার প্যারোলে জেল থেকে বেরিয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে তাদের ছাড়া পাওয়ার পরবর্তী রিপোর্টে।
Read full story in English