/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/kappan.jpg)
অসুস্থ মা-কে দেখতে যাওয়ার জন্য সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের পাঁচ দিনের অন্তরবর্তী জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ধৃত কাপ্পানকে নিয়ে কেরালায় তাঁর বাড়িতে যাবে। এই সময়কালে কাপ্পান সংবাদ মাধ্যম ও জনগণের কাছে কোনও কথা বলতে পারবেন না। তবে পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
হাথরাস গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর খবর সংগ্রহের কাজে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কেরালার মালয়ালম কাগজে কর্মরত সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পান। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশিকা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ৫ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭) সাংবাদিক কাপ্পানকে গ্রেফতার করে।
২২ জানুয়ারি কাপ্পান মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, ধৃতের মা খুবই অসুস্থ। ৯০ বছরের উপর বয়স। ছেলেকে ৫ মাসের বেশি সময় ধরে না দেখে মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মানবিক পদক্ষেপ হিসাবে যেন সংবাদিকের সঙ্গে তাঁর মায়ের দেখা করাতে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা এই আর্জি বাস্তবায়ণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে ভিডিও কল করা হয়। এ বিষয়ে কাপ্পানের দাদা হানজা বলেছেন, 'মা শুধু কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকলেন। কোনও কথা বলতে পারেননি।'
পরে এক আবেদনে সিদ্দিকি কাপ্পানের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানান, ধৃত সাংবাদিকের মা খাদিজা কুট্টির শারীরিক পরিস্থির অবনতি হয়েছে। বারে বারেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। আর যখন জ্ঞান ফিরছে তখনই তিনি ছেলেকে দেখার জন্য কাতর হচ্ছেন। নিজের চোখের ছেলেকে দেখাই তাঁর শেষ ইচ্ছা বলে ক্ষীণ কন্ঠে বলছেন কুট্টি। এই পরিস্থিতিতে আদালত যেন পদক্ষেপ করে।
সিদ্দিকি কাপ্পানের স্ত্রী কেরালা নিবাসী রেহেনা জানিয়েছেন, ছেলে জেলেবন্দি শুনে তাঁর শাশুড়ির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অ্যালজাইমার্সের রোগী খাদিজা কুট্টি। জ্ঞান ফিরলেই তিনি শুধু ছেলেকে দেখতে চাইছেন। কাপ্পানের পরিবারের বক্তব্য, পাঁচ মাস পরেও কাপ্পানের জামিন তো মঞ্জুর হয়ইনি, উল্টে প্রত্যেক বার শুনানির সময়ে নতুন ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন