Lakhimpur Violence: লখিমপুর-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এভাবেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের উপর চাপ বাড়াল শীর্ষ আদালত। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার শুনানিতে এদিন উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে।
তিনি আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন শনিবারের মধ্যে মন্ত্রী-পুত্র থানায় হাজিরা না দিলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাঁর কোন উপস্থিতি পায়নি উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এরপরেই মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সমন নোটিশ টাঙায় পুলিশ। শনিবার সকাল ১১টায় ফের তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে।
এদিকে, লখিমপুর খেরিতে চার কৃষক-সহ আটজনের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বৃহস্পতিবার এইভাবেই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে যোগী প্রশাসনের কাছে গোটা ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট তলব করল শীর্ষ আদালত। জানতে চাইল, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের এবং কজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এদিন লখিমপুর কাণ্ডের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রথম শুনানি হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিনিয়র আইনজীবী গরিমা প্রসাদ এদিন আদালতে জানান, রাজ্য সরকার একটি স্টেটাস রিপোর্ট কোর্টে জমা দেবে। একদিন সময় চেয়েছে রাজ্য সরকার। বিচারপতিদের বেঞ্চ আগামিকাল সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুনানি করবে।
এদিন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আট জন ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষকরাও রয়েছেন। একজন সাংবাদিক ও অন্যান্যদের মৃত্যুর খবরও পেয়েছি। আমরা জানতে চাই, কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না। দয়া করে সেই স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে জমা করুন।
তারপরে তড়িঘড়ি আসরে নামে উত্তর প্রদেশ পুলিশ? ডেকে পাঠানো হয় মন্ত্রী-পুত্রকে। যদিও পুলিশি এই গরিমসির ভূমিকায় এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন