Advertisment

শবরীমালার জের; মসজিদে মহিলার প্রবেশাধিকারের শুনানিতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট

আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, দেশের এই বৈষম্যমূলক নীতিতে অধিকাংশ মহিলাই খুশি নন, তবে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌছনোর ক্ষমতা সবার নেই। এই রীতি ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মঙ্গলবার কেন্দ্র, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং সর্ব ভারতীয় মুসলিম ব্যক্তিগত আইন পর্ষদকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুনের এক দম্পতি মসজিদে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালতের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

Advertisment

আবেদনটি করেছেন মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের ইয়াসমিন জুবের আহমেদ পিরজাদে এবং জুবের আহমেদ নাজির আহমেদ পিরজাদে। দম্পতি বলেছেন, "কোরান কিমবা হাদিথ, কোথাও বলা হয়নি, মহিলারা মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন না। এতে লিঙ্গ বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। মহিলাদের মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা অসাংবিধানিক। এই প্রচলিত রীতি যে শুধু মহিলাদের প্রতি অসম্মান, তাই-ই নয়, সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ এবং ২৫ নম্বর ধারা লঙ্ঘিত হয় এতে"।

বিচারপতি এস এ বব্দে, এবং বিচারপতি আব্দুল নজিরের বেঞ্চ জানতে চেয়েছে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা আলাদা করে ব্যক্তি বিশেষে প্রযোজ্য কি না। আবেদনকারীদের আইনজীবীর উত্তরে সন্তুষ্ট নয় বেঞ্চ। শুধুমাত্র শবরীমালার কারণে এই শুনানিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন, বিজেপিকে ভোট নয়, আবেদন ১০০জন পরিচালকের

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমীরশাহি, সৌদি আরব, মিশর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপোরে মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশে বাধা নেই।

আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, দেশের এই বৈষম্যমূলক নীতিতে অধিকাংশ মহিলাই খুশি নন, তবে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌছনোর ক্ষমতা সবার নেই। এই রীতি ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। সংবিধানে বলা হয়েছে জাতি, লিঙ্গ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয়, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনশিয়েন্স অব উইমেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায় “অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর”।

Read the full story in English

supreme court WOMEN
Advertisment