Citizenship Amendment Act 2019: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) উপর স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে মোদী সরকারকে নয়া আইন নিয়ে হলফনামা দিতে হবে ২রা এপ্রিলের মধদ্যে। ৮ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনকারীর তরফে যুক্তি দেওয়া হবে আদালতে। এরপরদিন হবে মামলার শুনানি।
মঙ্গলবার সিএএ-র বিরোধিতা করে যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়। মামলাগুলি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
কেন্দ্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্বআইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে২৩৬টি আবেদন এবং ওই আইনের বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে ২০টি আবেদন হয়েছে। উত্তর দাখিলের জন্য আদালতের থেকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। সলিসিটর জেনারেল মেহতা স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন যে, 'আইন এবং বিধি কোন ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় না। কোন নতুন ব্যক্তি এর ফলে নাগরিকত্ব পাবেন না। শুধুমাত্র ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে ঢুকে পড়া তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এই আইনে নারগরিকত্ব নিশ্চিৎ করা হবে।'
আরও পড়ুন- India slams China: ভারতের থেকে অরুণাচল ছিনিয়ে নেওয়ার ফন্দি চিনের, কড়া অবস্থান মোদী সরকারের
প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং, একজন আবেদনকারীর পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর আর্জি ছিল, সিএএ বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত এই আইনে যেন কাউকে নাগরিকত্ব মঞ্জুর করা না হয় এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশদিক। আইনজীবী জয়সিংয়ের আবেদন ছিল, পিটিশন বিষয়টি হল নাগরিকত্ব একবার দেওয়া হলে আইনের অধীনে তা বাতিল করা যায় না। তবে শীর্ষ আদালত জানায়, 'এটি একটি ভিন্ন বিষয়।'
আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, 'চার সপ্তাহের মধ্যে যদি কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে যায়, তাহলে তা ফেরানো কঠিন হবে।' এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হচ্ছে, তার মধ্যেই হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে। তবে এখনই কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।
সংসদে আইন পাশ হওয়ার পর চার বছর পর গত ১১ মার্চ দেশ জুড়ে নতুন আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আগে ভারতে শরণার্থী হিসেবে এসেছেন এমন মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হল, মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্ম যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ধর্মের মানুষ হতে হবে। ভারতের প্রতিবেশী তিন দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জন্যই এই আইন প্রযোজ্য।