লাগাতার ভুয়ো খবর এবং হিংসা ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। বিশেষ করে বেশ কিছু টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘৃণ্য অপরাধ লাগাতার হচ্ছে। এর মোকাবিলায় এবার আসরে সুপ্রিম কোর্ট। জনস্বার্থ মামলার আবেদনের ভিত্তিতে ভুয়ো-দ্বেষমূলক খবর ও বিজ্ঞাপন রুখতে টুইটার কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। উল্লেখযোগ্য বিষয়, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন একজন বিজেপি নেতা।
বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কা আবেদনে জানিয়েছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে প্রায় কয়েকশো ভুয়ো হ্যান্ডেল থেকে এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর সেগুলি থেকেউই ভুয়ো খবর এবং হিংসার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আইনজীবী অশ্বিনী দুবে আদালতে জানিয়েছেন, হিংসাত্মক কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা নিয়মনীতি প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না ও ভি সুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ এই মর্মে টুইটার ও কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে।
আইনজীবীর আরও দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ভাবমূর্তি শোধরানোর জন্য এবং বিরোধী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এই কাজ গুলি করে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। তাই আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, এমন নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে আইনত এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। টুইটার এবং কেন্দ্র দুই পক্ষই যেন এ বিষয়ে সজাগ থাকে।
এদিকে, কৃষক আন্দোলনের জেরে সংঘাত তীব্র হচ্ছে কেন্দ্র ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে। মার্কিন মাইক্রোব্লগিং সাইটের উপর বেজায় ক্ষিপ্ত কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ চরম হুঁশিয়ারি দেন টুইটারকে। বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ টুইটারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।