Advertisment

পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হাঁটা আটকাতে পারে না আদালত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

আদালতের বক্তব্য, দেশময় পরিযায়ী শ্রমিকদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা, বা তাতে বাধা দেওয়া, কোনও আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
migrant workers supreme court

অকাতরে ঘুমিয়ে শিশু। রক্ষাকর্ত্রী ছোট দিদি। বাড়ির পথে হাঁটা। ছবি: গজেন্দ্র যাদব, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Coronavirus (Covid-19): সারা দেশ জুড়ে পায়ে হেঁটে বাড়িমুখো হয়েছেন যে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, চলার পথে আটকে গেলে তাঁদের খাবার এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে, এবং পরবর্তীতে তাঁদের বাড়ি ফেরার যানবাহন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে নির্দেশ দিক কেন্দ্র, এই মর্মে একটি আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, দেশময় পরিযায়ী শ্রমিকদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা, বা তাতে বাধা দেওয়া, কোনও আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে একমাত্র রাজ্য সরকারগুলি।

Advertisment

করোনাভাইরাস জনিত লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে কয়েক হাজার কিলোমিটার হাঁটবেন বলে রওনা দিয়েছেন।

ভিডিও কনফারেন্স মারফত শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বে আদালতের তিন-সদস্যের একটি বেঞ্চ সলিসিটর-জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চায়, কোনোভাবে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের পথেঘাটে হাঁটা বন্ধ করা যায় কিনা। জবাবে মেহতা বলেন যে শ্রমিকদের আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন রাজ্য, তবে যানবাহনের অপেক্ষা না করে যদি কেউ পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন, সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই।

মেহতা স্বীকার করে নেন যে প্রশাসন এই শ্রমিকদের না হাঁটতে অনুরোধ করতে পারে, কিন্তু কোনোরকম বলপ্রয়োগ করে তাঁদের থামানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হবে। মেহতা বেঞ্চকে আরও জানান যে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ঐক্য সাপেক্ষে সকলকেই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য যানবাহন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে।

আবেদন জমা করে অ্যাডভোকেট আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব উল্লেখ করেন মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে হাইওয়ের ওপর ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক পথ দুর্ঘটনার কথা, যাতে নিহত হন বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক।

"আমরা কীভাবে এটা বন্ধ করতে পারি?" প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ, যার বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি এসকে কাউল এবং বিআর গভাই। তাঁদের সম্মিলিত বক্তব্য, এ ব্ব্যাপারে যথাযথ পদেক্ষেপ নেওয়া উচিত বিভিন্ন রাজ্যের। এই আবেদনের শুনানি চালাতে আর তাঁরা ইচ্ছুক নন জানিয়ে দিয়ে বিচারপতিরা বলেন, কে হাঁটছে বা হাঁটছে না, তার ওপর নজরদারি করা আদালতের পক্ষে অসম্ভব।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ শহরের কাছে রেল লাইনের ওপর ঘুমন্ত ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেই তাঁর আবেদন জমা করেন শ্রীবাস্তব। পথ চলতে চলতে ক্লান্ত ওই শ্রমিকরা গভীর রাতে রেললাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন, এবং তাঁদের পিষে দিয়ে যায় চলন্ত একটি মালগাড়ি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment