Supreme Court on Ramdev’s apology in Patanjali ‘misleading’ ads case: যোগগুরু বাবা রামদেবের ক্ষমা গ্রহণ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত অবমাননা মামলায় ক্ষমা চেয়েছিলেন যোগগুরু এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আচার্য বালকৃষ্ণ। তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ একথা জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, 'আমরা আপনাদের হলফনামা গ্রহণ করব না। কারণ, আপনারা যা করেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। যা বারবার আমাদের আদেশের লঙ্ঘন বলেই আমরা মনে করি।' শুধু তাই নয়। এই 'ক্ষমাপ্রার্থনা' আদৌ আন্তরিক কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
পতঞ্জলির আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, 'মানুষ জীবনে ভুল করে।' নাছোড় বিচারপতিরা পালটা বলেছেন, 'আমাদের আদেশের পরও ভুল করবে? আমরা এতটা উদার হতে পারব না।' এর আগে গত সপ্তাহেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েছিলেন যোগগুরু। বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, 'ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা করেছে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। তাই আমরা ক্ষমা গ্রহণ করব না।' এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে হলফনামা দিয়ে বলেছে, অ্যালোপ্যাথি না আয়ুর্বেদ, কোন চিকিৎসা গ্রহণ করবেন, তা একান্তই রোগীর নিজস্ব ব্যাপার।
পালটা আদালত প্রশ্ন তুলেছে, 'সরকার কেন গোটা ব্যাপারটাতে চোখ বন্ধ করে রেখেছে? আমরা সেটা বুঝতেই পারছি না।' কেন্দ্রীয় সরকার জবাবে জানিয়েছে, তারা চোখ বন্ধ করে নেই। আইন মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্যগুলোরও ভুয়ো বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে পতঞ্জলি কোভিডের সময় 'করোনিন' নামে একটি ওষুধও বের করেছিল।
আরও পড়ুন- নিজেদের সরকারের পুষ্ট করা আইনে নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছে কংগ্রেস! হাত কামড়াচ্ছেন অন্যরাও
পরে অনুসন্ধান শেষে আয়ুষ জানিয়েছিল, এই ওষুধ কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, তারা পতঞ্জলিকে একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েছে। কিন্তু, পতঞ্জলি ২০১৯ সালে দেওয়া বম্বে হাইকোর্টের এক অন্তর্বর্তী নির্দেশকে হাতিয়ার করে বেঁচে যায়। এবার তারা আইন অনুযায়ী পতঞ্জলি সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে চায়। আদালত ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর, হরিদ্বারে রামদেবের সাংবাদিক বৈঠক, ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর অঙ্গীকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আর ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, পতঞ্জলির জারি করা একটি বিজ্ঞাপনের কারণে সংস্থাটির ওপর বিরক্ত।