লোকপাল এবং এর সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা সিলেকশন কিমিটির কাছে পাঠিয়ে দিক সার্চ কমিটি। বৃহস্পতিবার এই মর্মে অনুরোধ জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, এ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকেও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। আগামী ৭ মার্চ এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। সার্চ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই।
লোকপাল নিয়োগে বিলম্ব করছে কেন্দ্র, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'কমন কজ'। এ ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি আদৌ কাজ করছে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সংস্থার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, "নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন না। দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হলে, দুনিয়াটা আরও ভাল হয়ে উঠবে"। এদিকে, কেন্দ্রের পক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল কে.কে. বেণুগোপাল জানান, পরিকাঠামোগত ঘাটতির কারণেই কাজ করতে পারছে না সার্চ কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে তৈরি লোকায়ুক্ত আইন ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি'২০১৪ থেকে লাগু হয় এই আইন। তবে আইন চালু হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত লোকপাল নিয়োগ হয়নি। একাধিক রাজ্যও এখনও পর্যন্ত লোকপাল নিযুক্ত করেনি। প্রসঙ্গত, লোকপাল নিয়োগের সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা, লোকসভার অধ্যক্ষ এবং এক প্রখ্যাত আইনজ্ঞ।
এদিকে, লোকপালের এই সিলেক্ট কমিটিতে তাঁকে 'আমন্ত্রিত সদস্য' করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা বর্তমানে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর আরও অভিযোগ, লোকায়ুক্ত আইনে 'আমন্ত্রিত সদস্যে'র কোনও উল্লেখই নেই। আর এ জন্যই এখনও পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সিলেকশন প্যানেলের বৈঠকগুলিতে তিনি উপস্থিত থাকেননি বলে জানিয়েছেন খাড়গে। অন্যদিকে, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে লোকপাল নিয়োগ না হলে সরকারকে অনশনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন প্রবীণ সমাজকর্মী অন্না হাজারে।
Read the full story in English