পেগাসাস কাণ্ডে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে তদন্তের দায়িত্ব দিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লিখেছে, 'সত্যের জয় হবেই'।
সেই কমিটির মাথায় থাকবেন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রণ। কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেবেন। এই মামলায় ৮ সপ্তাহ অর্থাৎ দুই মাস ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
প্রধান বিচারপতি রামান্নাকে উদ্ধৃত করে বার অ্যান্ড বেঞ্চ জানিয়েছে, "বার বার জাতীয় সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সরকার পার পেয়ে যেতে পারে না। বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা নিয়ে কোনও বাধা থাকতে পারে না। আদালতকে নীরব দর্শক না বানিয়ে কেন্দ্রের উচিত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত।"
রামান্না আরও বলেছেন, "কেন্দ্রের তরফে কোনও পরিস্কার অস্বীকার করা হয়নি। তাই আমাদের কাছে মামলাকারীর আবেদনের পক্ষে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হচ্ছে যার কাজকর্ম শীর্ষ আদালতের গোচরে থাকবে।"
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে ১২টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এডিটর্স গিল্ড, সাংবাদিক এন রাম, শশী কুমার, প্রাণজয় গুহ ঠাকুরতা, তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা, শিক্ষাবিদ জগদীপ এস ছোকার-সহ আরও অনেকে মামলা দায়ের করেন স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে।
যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিষয়টির রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। বিরোধী শিবির কিংবা কোনও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। তবে সেই হলফনামায় কোথাও উল্লেখ ছিল না, কেন্দ্র ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও থেকে আদৌ পেগাসাস সফটওয়ার কিনেছিল কি না। মামলাকারীদের তরফে সেই বিষয়ে আলোকপাত করতে শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন মঙ্গলবারও জামিন হল না আরিয়ানের, বুধবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখল বম্বে হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের এনএসও সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী, বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংবিধানিক পদে কর্তব্যরত ব্যক্তি, একাধিক সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৩০০ জন ভারতীয়র মোবাইল ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাদল অধিবেশনের আগে যাকে কেন্দ্র করে ঝড় ওঠে দেশের রাজনীতিতে। বাদল অধিবেশনও কার্যত ভণ্ডুল হয় বিরোধীদের হই-হট্টগোলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন