বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন উত্তর প্রদেশ সরকারকে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের। CAA বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশে চলা গন্ডগোলে সম্পত্তি ভাঙচুরে জরিমানা আদায় নোটিশ জারি করে বিদায়ী যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই নোটিশ অবিলম্বে ফেরানোর নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। ওই নোটিশ প্রত্যাহার করে নিতে উত্তর প্রদেশ সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
নির্বাচন চলাকালীন মুখ পুড়ল উত্তর প্রদেশের বিদায়ী বিজেপি সরকারের। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশেও ব্যাপক বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তিতেও বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনা পরবর্তী সময়ে এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
ভাঙচুরে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জরিমানার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। এমনকী সরকারের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নোটিশও জারি করা হয়। সেই নোটিশ ফিরয়ে নিতেই এবার যোগী সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে আদালতের নির্দশ কার্যকর করতে হবে। উত্তর প্রদেশ সরকারকে এটাই শেষ সুযোদ দেওয়া হচ্ছে। যে নোটিশ তারা দিয়েছে তা অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে হবে। উত্তর প্রদেশ সরকারকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি সূর্য কান্ত উত্তর প্রদেশের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদকে বলেন, "আপনিই অভিযোগকারী। আপনিই বিচারক, আপনিই আবার অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছেন।'' অতিরিক্ত এজি-কে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ''বিচার বিভাগীয় অফিসারকে বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এডিএম কীভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন?"
আরও পড়ুন- ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ? চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল
উত্তর প্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত এজি-কে ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেন, ''আমরা এই নোটিশগুলি বাতিল করে দেব। তারপরে আপনি নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা পাবেন। আগামী শুক্রবার আমাদের বলুন আপনি কি করতে চান।''
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ''এটি কেবল একটি পরামর্শ। ২০১৯-এ ওই ধরনের একটি নোটিশ জারি করাও এক ধরনের আন্দোলন বা প্রতিবাদের মতো। আপনি শুধুমাত্র একটি কলমের খোঁচাতেই ওই নোটিশ তুলে নিতে পারতেন। উত্তর প্রদেশের মতো এত বড় রাজ্যে ২৩৬টি নোটিশ এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। যদি আপনি আমাদের কথা শুনতে না চান, তাহলে পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকুন। আমরা আপনাকে বোঝাব কীভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলি অনুসরণ করতে হয়।''
Read full story in English