পিছোচ্ছে না ডাক্তারির প্রবেশিকা। সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা পিছনোর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার পরীক্ষা পিছনোর আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, NEET-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২১ মে-র বদলে অন্য তারিখে হলে তা বিশৃঙ্খলতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। এই সিদ্ধান্ত হাসপাতালে চিকিৎসকদের ঘাটতি তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে এদিন ডাক্তারি প্রবেশিকা পিছনোর আবেদনের শুনানি হয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন, ২ লক্ষেরও বেশি চিকিৎসক এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। পরীক্ষাটি পিছিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে। তাঁরা প্রভাবিত হবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ''এই প্রক্রিয়াটি সেই কারণেই স্থগিত করা যাবে না। তাই পিটিশনগুলি খারিজ করা হয়েছে।''
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে হতে চলেছে নিট স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা। গত বছরের নিট স্নাতকোত্তরের কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গেই এই পরীক্ষাটি হতে চলেছে। তাই এবছর এই পরীক্ষার দিন পিছনোর আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও পরীক্ষা পিছনোর আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। বরং পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে ২ লক্ষেরও বেশি চিকিৎসক দারুণভাবে প্রভাবিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন- রক্তাক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর এবার জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা পুলিশকর্মী
অসংখ্য পরীক্ষার্থীর জীবনে পরীক্ষা পিছনোর বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন বিচারপতিরা। সেই কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। মহামারীর পালা কাটিয়ে দেশ আবার নিজস্ব গতিতে ফিরেছে, এই পরিস্থিতিতে সময়সূচী এবার অবশ্যই সবাইকে মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Read story in English