কোনও সরকারি কর্মীকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া মানে তা সংবিধানকে উপহাসের সামিল। শুক্রবার জানিয়েদিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্র বা রাজ্য। সরকারি কোনও আধিকারিক কমিশনের দায়িত্বে এলে তাতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের সম্মুখীন হবে বলে মনে করে সুর্পিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ইলেকশন কমিশনারদের একেবারে স্বাধীন হতে হবে ও যে কোনও লাভজনক পদে আসীন আছেন বা সরকারি কর্মী - তাদের নিযুক্ত করা যাবে না। দেশের যেসব জায়গায় কমিশনে এই ধরনের নিয়োগ হয়েছে সেখান থেকে সরকারি আধিকারিকদের অবিলম্বে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোয়া সরকার পুরভোটের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছিল তাদের আইন সচিবকে। পাঁচটি পুরসভায় নিয়ম মেনে ভোট না হওয়ার অভিযোগে নির্বাচন বাতিল করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কোনও লাভ হল না। এই সিদ্ধান্তের জন্য গোয়া সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ভবিষ্যতে এরকম যেন কেন্দ্র বা কোনও রাজ্য সরকার না করে, সেটাও সাফ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রোহিংটন নরিমান ও বিআর গাভাই বম্বে হাইকোর্টের গোয়ার পাঁচ পুরসভার ভোট বাতিলের
সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। রায় বলা হয়েছে, মুরমুগাঁও, মারগাও, মাপুসা, কুইপেম ও সাংগুয়েম পুরসভায় ভোটের জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে নোটিফিকেশন জারি করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ভোট প্রক্রিয়া ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে।
রায় প্রদানের সময় বিচারপতিরা সংবিধানের ১৪২ ও ১৪৪ ধারায় সুপ্রিম কোর্টর বিশেষ ক্ষমতার কথা তুলে ধরেন। সংবিধানের ১৪২ ধারা 'সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারে'র সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবে। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
Read in English