সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি আইনগতভাবে অবৈধ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেটাই বহাল থাকবে বলেও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে অবশ্য বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের একটি বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স অ্যাক্ট, ২০০৩-এর সংশোধনীগুলো বহাল থাকবে।
সেই অনুযায়ী ইডির ডিরেক্টরের মত উচ্চস্তরের আধিকারিকদের কাজের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। তবে, সেটা জনস্বার্থে করা যাবে আর লিখিত কারণ দর্শাতে হবে। আদালত জানিয়েছে যে প্রশাসনিক ক্রিয়াকলাপে বিচারের পর্যালোচনার সুযোগ খুব সীমিত। এই সুযোগ শুধুমাত্র তিনটি কারণে পাওয়া যেতে পারে। এক, যখন আইনসভার আইন প্রণয়নের দক্ষতার অভাব থাকে। দুই, যখন এটি মৌলিক অধিকারকে প্রভাবিত করে। তিন, যখন স্পষ্ট স্বেচ্ছাচারিতা থাকে।
আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় আইনসভার আইন প্রণয়নের দক্ষতা ছিল। কোনও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়নি। স্পষ্টতই এর মধ্যে কোনও স্বেচ্ছাচারিতাও নেই। একইসঙ্গে, আদালত যোগ করেছে যে সংসদ একটি রায়ের কারণ বদলে দিতে পারে। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ বাতিল করতে পারে না। অথবা, আদালত যদি একজন সরকারি আধিকারিককে তাঁর দফতরের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার নির্দেশ দেয়, তা-ও বাতিল করতে পারে না সংসদ। এই প্রসঙ্গে আদালত, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের পর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বলেনি।
আরও পড়ুন- মোদীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার! বেদান্ত-ফক্সকন যৌথ উদ্যোগ বাতিল
কেন্দ্র গত বছরের নভেম্বরে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ আরও একবছরের জন্য বাড়িয়েছিল। ঠিক তাঁর, অবসর নেওয়ার একদিন আগে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এই নিয়ে মিশ্রের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হল। বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী মিশ্রর ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকার কথা। এর ফলে, ইডির প্রধান হিসেবে সঞ্জয়কুমার মিশ্র মোট পাঁচ বছর কাটাতেন। কারণ, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর, রাষ্ট্রপতি মিশ্রর নিয়োগ সংক্রান্ত আগের আদেশটি পরিবর্তন করেছিলেন এবং মিশ্রের মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়েছিলেন।