জোর করে ধর্মান্তরণ অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। এমনটাই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ মনে করছে, ধর্মান্তরণ ঠেকানো সম্ভব না-হলে, অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে। আদালতের ধারণা, লোভের বশেই ধর্মান্তরণ ঘটছে। আর, তা রোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ব্যাপারে আদালত বলেছে, 'এটা অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। জোর করে ধর্মান্তরণ রুখতে কেন্দ্রকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না-হলে, অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, অবিলম্বে জানান।'
এই প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, 'এটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। এর ফলে জাতির নিরাপত্তা, ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতা প্রভাবিত হচ্ছে। অতএব, সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। এই ধরনের জোর করে ধর্মান্তরণ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে জানাতে হবে।' আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের একটি আবেদনের শুনানির ক্ষেত্রে এই মন্তব্য করেছে আদালত।
আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, প্রতারণামূলক উপহার এবং আর্থিক সুবিধা', এসবের মাধ্যমেই ধর্মান্তরণ চলছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মান্তরণ রুখতে তিনি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, সেই আবেদনই আদালতের কাছে করেছিলেন।
আরও পড়ুন- রুশ সেনার পশ্চাদপসরণ, ইউক্রেনের সেনাকে বীরের মর্যাদায় স্বাগত জানাচ্ছেন খেরসনবাসী
দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব সংঘ পরিবার। এই ব্যাপারে সংঘ পরিবারের অভিযোগ, নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছে। আর, তার ফলে বদলে যাচ্ছে দেশের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি। ভারতের পুরোনো ঐতিহ্যের অবসান ঘটছে। পালটা, ধর্মান্তরণের রাস্তায় 'ঘর ওয়াপসি' প্রথা চালু করেছে সংঘ পরিবারের অনুমোদিত সংগঠনগুলো।
এই পরিস্থিতিতে লাভ জিহাদের মাধ্যমে ধর্মান্তরণের অভিযোগে সংঘ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছে। পালটা, 'ঘর ওয়াপসি'ও চালু করেছে সংঘের সংগঠনগুলো। তারই মধ্যে সংঘ-ঘনিষ্ঠ আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় ধর্মান্তরণ রুখতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তিনি ধর্মান্তরণ রুখতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন।
Read full story in English