পোশাক না খুলে শরীর স্পর্শ করলে যৌন নির্যাতন নয়, একটি মামলার শুনানিতে এমনই তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের মহিলা বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা। গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে তা ‘দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (পকসো) আইনে পড়বে না, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে এমনটাই জানানো হয়েছিল। বুধবার বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের ওই রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল আদালতে বম্বে হাইকোর্টের ওই রায়কে 'বিপজ্জনক নজির' বলে জানিয়েছিলেন। তারপরই পকসো আইন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকার এবং সাজাপ্রাপ্তের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
মহিলা বিচারপতি গত ১৯ জানুয়ারি রায়েজানিয়েছিলেন যে, অঙ্গপ্রবেশ (‘পেনিট্রেশন’) না ঘটিয়ে যদি কোনও শিশুকে যৌন ইচ্ছায় স্পর্শ করা হয়, সেটা যৌন নির্যাতন বলেই বিবেচিত হবে। তবে শিশুদের জামাকাপড় খুলিয়ে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে তাদের বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে সেটা যৌন নির্যাতন বলে ধরা হবে না পকসো আইনে।
২০১৬ সালে এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ কথা জানায় বম্বে হাইকোর্ট। পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই অভিযুক্তের সর্বাধিক তিন বছর কারাবাসের সাজা হওয়ার কথা ছিল। আইনের এই ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারপতি গানেড়িওয়ালা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
১২ বছর বয়সি একটি শিশুর বুকে চাপ দেওয়া ও তার জামাকাপড় খোলানোর চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির আদালতে দায়ের করা আর্জির প্রেক্ষিতে এ কথা জানায় বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
তবে,
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন