/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/vhp.jpg)
রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ ইস্যুতে ২০১০ সালে যে রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ আদালত, তাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের মুখ্যবিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হবে সেইসব আবেদনের শুনানি।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও থাকছেন বিচেরপতি এসকে কাউল। গত ২৯ অক্টোবর অযোধ্যার বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হবে। এ দিন থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানির দিনক্ষণ ঠিক করার প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন, ‘হাজার হাজার মুসলিম সদস্য তৃণমূল কিংবা বিজেপি থেকে কংগ্রেসে এসেছেন’
সম্প্রতি বছরের পয়লা তারিখে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া মোদীর সাক্ষাৎকারে রাম মন্দির প্রসঙ্গ উঠে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় হয়। বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী এবং আরএসএস রাম মন্দির নিয়ে যে শোরগোল তুলেছে, তা নিয়ে এতদিন নীরবই ছিলেন মোদী। এ বিষয়ে তাঁর প্রথম মন্তব্য শোনা গেল মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে রায় দিলে, একমাত্র তারপরেই রাম মন্দির বিষয়ক অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। শীর্ষ আদালতে কংগ্রেসের আইনজীবীদের তৈরি করা বিরোধিতার কারণেই বিচারপদ্ধতির গতি শ্লথ হয়ে গেছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, “শীর্ষ আদালতের রায় বেরোনোর পর আর অর্ডিন্যান্স জারি করার প্রয়োজনীয়তা কী? কাদের খুশি করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী? আশা করি সবাই দেখতেই পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজের দল এবং আরএসএস-এর দাবিই মানেন নি। আমরা খুশি, মোদী আজ বললেন রাম মন্দির প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের রায় মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু আদালতের রায় বেরনোর পর অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে বলে সাধারণ মানুষকে ধন্ধে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী।”
এইরকম পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নিয়ে কি রায় দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় রাজনীতিই।