বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১৯৫৪ সালে তৈরি হয়েছিল দ্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট (এসএমএ) বা বিশেষ বিবাহ আইন।
এই ব্যাপারে আদালত জানিয়েছে, সেই আইনের অধীনে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে কি না, তা-ই পরীক্ষা করে দেখা হবে। এতদিন বিয়ে সংক্রান্ত প্রণীত আইনে নারী ও পুরুষের জৈবিক সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, একজন নারী বা পুরুষ কে, তা নিয়ে কোনও পূর্ণাঙ্গ ধারণা কোথাও দেওয়া নেই।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি এস কে কউল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পিএস নরসিমহা। তাঁরা জানান, বিষয়টি নিয়ে ধীরে এগিয়ে যাওয়াই যেতে পারে। তবে, আদালত কেবলমাত্র বিশেষ বিবাহ আইন বা স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ীই বিষয়টি বিবেচনা করবে।
বিচারপতি কউল বলেন, 'কখনও কখনও সামাজিক সমস্যার ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন ভালো। তবে, সবকিছুরই একটা সময় আছে। আপাতত আমরা সীমিত ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারি। ব্যক্তিগত আইনের ইস্যুতে পা রাখতে পারব না।' কেন্দ্রের পক্ষে আদালতে প্রতিনিধিত্ব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে সরকারের আপত্তিগুলো বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তুষার মেহতা বলেন, 'বিবাহ বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির ব্যাপর জড়িত। যা আইনসভার আওতাধীন।'
আরও পড়ুন- ভারতে ব্যবসা বাড়াচ্ছে অ্যাপল, চালু করল নিজস্ব স্টোর, কী তার বিশেষত্ব?
মেহতা জানান, এই ব্যাপারে রাজ্যগুলোর বক্তব্য শোনাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'যেহেতু বিষয়টি কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের অধীন, তাই এক রাজ্য বিষয়টি মানলেও অন্য রাজ্য তা না-ও মানতে পারে।' মেহতা জানান, রাজ্যগুলো যোগ না-দিলে এই সব আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন যে, সলিসিটর জেনারেল প্রাথমিক আপত্তির কারণ হিসেবে যা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, তা হল এই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না। তিনি বোঝাতে চান, ইতিমধ্যে সেই পর্যায় অতিক্রান্ত। সেই সময় সলিসিটর জেনারেল পালটা জানান, না। তিনি এমন কিছুই বোঝাতে চাননি।