scorecardresearch

বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র ইস্যুতে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

আবেদনকারীরা বলেছেন, বিবিসির তথ্যচিত্রে দেখানো ‘সত্যি ঘটনা’ আড়াল করতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে

Panel of PM LoP CJI should appoint Election Commissioners order by Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এন রাম, মহুয়া মৈত্র, প্রশান্ত ভূষণ এবং এমএল শর্মার আবেদনের ভিত্তিতে আদালত আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালত। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর নির্মিত বিবিসি ডকুমেন্টারি ‘নিষিদ্ধ’ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

ভারত সরকার বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্রটিকে ‘প্রোপাগান্ডা অংশ’ হিসেবে বর্ণনা করা তথ্যচিত্রটিকে নিষিদ্ধ করেছে। প্রশান্ত ভূষণ, এন রাম, মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এমএম সুন্দরেশের একটি বেঞ্চ সিনিয়র সাংবাদিক এন রাম, টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ এবং অ্যাডভোকেট এমএল শর্মার আবেদনের শুনানি করেন। এই সময়, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিইউ সিং, আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে টুইটার থেকে লিঙ্কটি সরানোর কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে আদালত বলেন আমরা সরকারকে এই বিষয়ে একটি নোটিস জারি করেছি। এপ্রিলে এই মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও এমএম সুন্দারেশের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ইস্যুতে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে

দেশের সব সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে আইনজীবী এমএল শর্মা, প্রশান্ত ভূষণ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি ডকুমেন্টারি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্টে।

২০০২ সালের গুজরাট হিংসা ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার উপরে তৈরি ওই তথ্যচিত্র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখছেন পড়ুয়ারা। এতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রবল সংঘাত তৈরি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ভারতে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। এনিয়ে এবার তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটেনে বসবাসকারী বেশ কিছু ভারতীয় এই তথ্যচিত্র নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এবং তথ্যচিত্র বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিদেশ সচিব বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে ব্রিটেন।

সুপ্রিম কোর্ট আজ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) এর বিতর্কিত তথ্যচিত্রের উপর কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আজ শুনানির সময় কেন্দ্রকে নোটিস জারি করে শীর্ষ আদালত। বিবিসি ডকুমেন্টারি নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজনীতি। গুজরাট দাঙ্গার বিষয়ে বেশ বিতর্কিত বিষয় দেখানো নিয়ে কেন্দ্রের তোপের মুখে পড়েছে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র। কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন চ্যানেলগুলিতে এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেছে।

নিষেধাজ্ঞার পর দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সিনিয়র সাংবাদিক এন. রাম, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন। সেই বিষয়ে আজ শীর্ষ আদালতে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে আবেদনকারীরা বলেছেন, বিবিসির তথ্যচিত্রে দেখানো ‘সত্যি ঘটনা’ আড়াল করতে সরকার সচেষ্টা। আবেদনে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারি পদক্ষেপ ও পাশাপাশি এটিতে অসাংবিধানিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এমএম সুন্দ্রেশের ডিভিশন বেঞ্চ আই আবেদনের শুনানি করবেন।

বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু ছাত্র সংগঠন সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি প্রদর্শন করেছে। এর পরে অনেক জায়গায় এই নিয়ে হিংসার ঘটনা ঘটে। স্ক্রিনিং বন্ধ করতে দিল্লির আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়েও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ক্রিনিং ঘিরে উত্তপ্ত হয় JNU চত্ত্বর।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Supreme court to hear petitions against ban on bbc documentary on february 3