Advertisment

শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার পরবর্তী শুনানি ১৩ নভেম্বর, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও গত সপ্তাহের শুরুতে মন্দির খোলার পর মহিলারা কেউ শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। গত পাঁচদিনে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ১২  জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চার দোষীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয়, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনশিয়েন্স অব উইমেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায় “অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর”। শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় পুনর্বিবেচনা কবে হবে, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল আজ। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হল ১৩ নভেম্বর।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহিলাদের মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দিলেন না কর্তৃপক্ষ এবং ভক্তরা। এই অবস্থাতে ২২ অক্টোবর রাত ১০ টায় এ মাসের মতো বন্ধ হয়ে গেল মন্দির। ১৭ অক্টোবর বিকেলবেলা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মন্দির চত্বর। আগামী মাসের ৫ তারিখ একদিনের জন্য খুলবে মন্দির। তারপর আবার ১৬ নভেম্বর থেকে ১২ দিনের জন্য খোলা থাকবে মন্দির।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও গত সপ্তাহের শুরুতে মন্দির খোলার পর মহিলারা কেউ শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। গত পাঁচদিনে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ১২  জন মহিলাকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বদলাল না কিছুই, আজ বন্ধ হচ্ছে শবরীমালা মন্দির

অক্টোবর মাসে মন্দির খোলার প্রথম দিন থেকেই মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। সংবাদমাধ্যমের ওপরেও আক্রমণের ঘটনা ঘটে। অন্ধ্র প্রদেশের চার সদস্যের একটি পরিবার মন্দির চত্বরে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন ট্রেক করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৪০ বছরের এক মহিলা থাকায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েন আয়াপ্পা ভক্তরা। মহিলাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হলে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হয়। তৃতীয় দিনে তিনজন মহিলাকে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিলেন হায়দ্রাবাদের সাংবাদিক কবিতা জাক্কাল এবং কোচির সমাজকর্মী রেহানা ফতিমা। রেহানার বাসভবনেও হামলা চালান আয়াপ্পা ভক্তরা। এর মাঝে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানিয়ে দেন, মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করলে তালা বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দির। চতুর্থ দিনে পরিচয়পত্র দেখে বয়স যাচাই করে ঢুকতে দেওয়া হয় ৫২ বছরের এক মহিলা ভক্তকে। পঞ্চম দিনেও পাঁচ মহিলাকে ফিরে যেতে হয় মন্দির চত্বর থেকে।

শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, মন্দিরের আচারের ক্ষেত্রে ঐতিহ্য ভাঙার চেষ্টা করা হলে, মন্দিরে তালা মেরে দেওয়া হবে এবং সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ট্রাভাঙ্কোর দেভোস্বম বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘সাংঘাতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তারা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে।
এতদিন ধরে শবরীমালা মন্দিরে প্রথানুযায়ী ১০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এর বিরুদ্ধে কেরালা হাইকোর্টে যে আবেদন করা হয়েছিল, তাতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, কেবলমাত্র তন্ত্রী (পুরোহিত)-ই এই প্রথার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। এর বিরুদ্ধে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই প্রথা প্রকৃতিগত ভাবেই বৈষম্যমূলক এবং মহিলাদের প্রার্থনার স্থান বাছাইয়ের অধিকারে হস্তক্ষেপকারী।

">Read the original story in English

Sabarimala
Advertisment