নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ে বিরাট স্বস্তি মোদী সরকারের। ২০১৬-এর ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না হলেই মনে করে দেশের শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। তবে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার রায়েই মোদী সরকারকে বড়সড় স্বস্তি দিল শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধীরা। বিভিন্ন মহল থেকে ওঠে প্রতিবাদ। কেন্দ্রের তৎকালীন মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। পিটিশন দাখিল করে আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়ে দাবি করেন যে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে মোদী সরকার নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও সেই সময়েই কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীও পাল্টা সওয়ালে যুক্তি দিয়ে দাবি করেছিলেন যে সরকারে সিদ্ধান্ত বদল করা সম্ভবপর হবে না।
আরও পড়ুন- গতকালের পর ফের আজ! বিস্ফোরণ রাজৌরিতে, ‘উত্তাল উপত্যকায়’ ধর্মঘটের ডাক
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় আচমকা পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করে দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার বদলে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট আনার ঘোষণা করেন মোদী। এদিকে আকস্মিকভাবে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের এই ঘোষণায় উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশজুড়ে। পুরনো নোট বদলে নতুন নোট নেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে যায় ব্যাঙ্কগুলিতে। দেশবাসীকে তরম সমস্যা ফেলেছে মোদী সরকার, বিজেপিকে আক্রণ করে সোচ্চার হতে থাকে বিরোধীরা।
সুপ্রিম কোর্টেও মামলার পর মামলা দায়ের হতে থাকে। তবে সেই মামলার রায়েই এবার বিরাট স্বস্তি মোদী সরকারের। কালো টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণাই ২০১৬ সালে নোট বাতিলের মূল লক্ষ্য ছিল বলে দাবি করেছিল মোদী সরকার। তবে বাস্তবে তৎকালীন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সিদ্ধান্তের সুফল মেলেনি বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একটি বড় অংশের।