সুপ্রিম কোর্টের আগের রায় অনুসারে ৪৯৮এ ধারায় পণ প্রথা সংক্রান্ত হেনস্থার অভিযোগ আনা হলে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করতে হবে। এ বার সেই রায়কেই নতুন করে সংশোধন করল শীর্ষ আদালত। রাজেশ শর্মা বনাম কেন্দ্রীয় সরকারের এক মামলার বিচারে ৪৯৮ এ ধারার অপব্যবহারের উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল, অভিযুক্ত আগাম জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে মহিলাদের বিবাহ পরবর্তী নিষ্ঠুরতা থেকে সুরক্ষা দিতে ৪৯৮এ ধারা রাখা হয়েছিল। কিন্তু অন্য পক্ষকে হেনস্থা করতে যে ভাবে তাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।
আরও পড়ুন, পালানোর চারদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মালিয়াকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ককে
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৯৮এ ধারায় অভিযোগ আনা হলে পরিবার কল্যাণ কমিটি গঠন করে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। ২০১৭ এর জুলাই মাসে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পরিবার কল্যাণ কমিটির রিপোর্ট পেশ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিকতম রায় কিন্তু সে নির্দেশ বাতিল করে দিল।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি নিয়ে গঠিত বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, "পরিবার কল্যাণ কমিটি গঠনের কোনও প্রয়োজন নেই। অভিযোগ খতিয়ে কী ঘটেছে বুঝে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে পুলিশ। মহিলারা যাতে ন্যায়বিচার পান তা যেমন সুনিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে পুরুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং বেঁচে থাকার অধিকার যেন অক্ষুণ্ণ থাকে"। প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার সাথে সাথে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, "পণ প্রথা সংক্রান্ত হেনস্থা নিয়ে তদন্তের সময় পুলিশ যেন বাড়তি সাবধানতা নেয়"।