সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের জামিনের আবেদনের ব্যাপারে গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালের গোধরা মামলায় তিস্তা শীতলবাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং সাজানো তথ্য ও প্রমাণ পেশের অভিযোগ রয়েছে। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সমাজকর্মী। জানিয়েছেন জামিনের আবেদন। সেই মামলাতেই গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
আগামী ২৫ আগস্ট, বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে চলবে এই মামলার আবেদনের শুনানি। শীর্ষ আদালতের কাছে তিস্তা শীতলবাদ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি নিম্ন আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। গত ৩০ জুলাই, সেই মামলায় নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করেছে। একইসঙ্গে তিস্তা জানিয়েছেন, আহমেদাবাদের সিটি সিভিল অ্যান্ড সেশন কোর্টই শুধু নয়, গুজরাত হাইকোর্টও ইতিমধ্যে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করেছে। আর, সেই কারণেই তিনি এবার বাধ্য হয়ে জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে দরবার করছেন।
আরও পড়ুন- বিলকিস-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সাজাপ্রাপ্তরা বারবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল, ভয় দেখিয়েছিল সাক্ষীদের
শুধু তিস্তা শীতলবাদই নয়। আহমেদাবাদ সেশন কোর্ট গুজরাতের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারের জামিনের আবেদনও বাতিল করেছে। কারণ, হিসেবে অতিরিক্ত মুখ্য সেশন জজ জানিয়েছেন, জামিন দেওয়া হলে যারা খারাপ কাজ করেছে, তারাই উৎসাহিত হবে। গুজরাত দাঙ্গার সময় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন তিস্তা শীতলবাদ। তাঁকে সাহায্য করেছে আরবি শ্রীকুমার।
নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন বাতিল হওয়ার পর তিস্তা শীতলবাদ ও আরবি শ্রীকুমার গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। সেই সময়ের মধ্যে গুজরাত সরকারকে বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। শীতলবাদের সঙ্গে শ্রীকুমারকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল ২৫ জুন। তার একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্লিনচিট বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ তদন্তকারী দল মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাকিয়া জাফরি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়াকে রায়ে বহাল রাখে।
Read full story in English