Advertisment

শাশুড়ির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পুত্রবধূর! মহিলাও ধর্ষক হতে পারে? বিচার করবে আদালত

শীর্ষ আদালতের রায়ের উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট ঋষি মালহোত্রা দাবি করেছেন যে কোনও মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।

IE Bangla Web Desk এবং Chinmoy Bhattacharjee
New Update
supreme court

আইপিসি ৩৭৬ (২) (এন)/(পুনরায় ধর্ষণ) ছাড়া এফআইআরের অন্যান্য সমস্ত ধারা জামিনযোগ্য। (ফাইল)

সাধারণত মহিলারাই ধর্ষণের শিকার হন। কিন্তু, একজন নারীর বিরুদ্ধে কী ধর্ষণের মামলা করা যায়? সুপ্রিম কোর্ট এই প্রশ্নটি বিচার করে দেখতে রাজি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিষয়টি কীভাবে এল? এক মহিলা ধর্ষণের মামলায় তাঁর ছেলের আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। ছেলের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন পুত্রবধূ। সেখানেই তিনি আদালতে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা ওই মহিলার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালতের রায়ের উল্লেখ করে ঋষি মালহোত্রা দাবি করেছেন যে একজন মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা যায় না। তাই, ৬১ বছরের ওই মহিলার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।

Advertisment

তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন তাঁরই পুত্রবধূ। সর্বোচ্চ আদালত, পঞ্জাব সরকারকে তাঁর পুত্রবধূর দায়ের করা মামলায় জড়িত ৬১ বছর বয়সি ওই মহিলার আবেদনের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যতক্ষণ না আবেদনের মীমাংসা হয়, ততক্ষণ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। বদলে, ওই মহিলাকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় ও বিচারপতি সঞ্জয় করোলের একটি বেঞ্চ। আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা যুক্তি দিয়েছেন যে এফআইআরের অন্যান্য সমস্ত শাস্তিমূলক ধারা ৩৭৬(২)(এন) আইপিসি (পুনরায় ধর্ষণ) ধারার অভিযোগ ছাড়া জামিনযোগ্য। ৩৭৬(২)(এন) আইপিসি (পুনরায় ধর্ষণ) ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। যার মেয়াদ ১০ বছরের কম হয় না। একমাস পরে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচাতে নতুন দাওয়াই, আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে কী পরামর্শ ‘বিশ্বগুরু’ মোদীর?

এই মামলায় অভিযোগকারিণীর পুত্রবধূ, অভিযুক্ত মহিলার বড় ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কে ছিলেন। তাঁর অতীতে কখনও সরাসরি দেখা করেননি। পরে, একটি ভার্চুয়াল বিয়ের অনুষ্ঠান করেন। আর, অভিযুক্তেরা সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এসব শুনে ওই মহিলার ছোট ছেলে পর্তুগাল থেকে তাঁদের দেখতে এসেছিলেন। অভিযুক্ত মহিলা দাবি করেছেন, এই সময় অভিযোগকারিণী ও তাঁর পরিবার তাঁকে ভার্চুয়াল বিয়ে শেষ করার জন্য চাপ দেয়। আর, ছোট ছেলে যাতে তাঁকে (অভিযোগকারিণীকে) পর্তুগালে নিয়ে যায়, সেজন্য চাপ দিতে শুরু করে। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। কিন্তু, ওই মহিলার ছোট ছেলে একাই পর্তুগালে ফিরে যান। আর, স্থানীয় পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় ১১ লক্ষ টাকা অভিযুক্তের পরিবারের থেকে আদায় করেন। তারপরও ধর্ষণ এবং অন্যান্য অভিযোগে দায়ের করে এফআইআর।

marriage Woman Supreme Court of India rape
Advertisment