Advertisment

'জনতার আদালতে অভিযোগ জানাতে ভয় পাওয়া উচিত নয়', নাগরিকদের বিশেষ বার্তা প্রধান বিচারপতির

সিজেআই বলেন, "গত সাত দশক ধরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি জনগণের আদালত হিসেবে কাজ করে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CJI DY Chandrachud

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

সুপ্রিম কোর্ট 'জনতার আদালত' হিসেবে তার ভূমিকা পালন করেছে। রবিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জন্সাধারণের কাছে আপিল করেছেন, "নাগরিকদের তাদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানাতে ভয় পাওয়া উচিত নয় ।" সংবিধান দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

Advertisment

সিজেআই বলেন, যে সংবিধান যেমন আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতির মাধ্যমে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সমাধান করার অনুমতি দেয়, তেমনি আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নীতি এবং পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক মতবিরোধ/পার্থক্য সমাধানে সহায়তা করে।

সুপ্রিম কোর্টে সংবিধান দিবস উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, "এইভাবে, দেশের প্রতিটি আদালতে প্রতিটি মামলা সাংবিধানিক শাসনের সম্প্রসারণ।" রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণ দেন যেখানে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ছাড়াও আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সিজেআই বলেন, "গত সাত দশক ধরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি জনগণের আদালত হিসেবে কাজ করেছে। হাজার হাজার নাগরিক এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন এই বিশ্বাস নিয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছে"।

‘যে কোনো নাগরিক আদালতের ওপর আস্থা রাখতে পারেন’

তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ব্যক্তিদের আদালতে যেতে ভয় পাওয়া উচিত নয় বরং আমার আশা এই যে, আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণী, বর্ণ ও ধর্মের নাগরিকরা আমাদের আদালত ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করতে পারবেন এবং অধিকার প্রয়োগের জন্য একটি ন্যায্য ও কার্যকর ফোরাম হিসেবে দেখতে পারবেন।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন যে আদালতগুলি এখন লাইভ স্ট্রিমিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে নাগরিকরা আদালতের ভিতরে কী ঘটছে তা জানতে পারে। তিনি বলেন, 'আজ হিন্দিতে ই-এসসিআর চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২১,৩৮৮৮ আদালতের সিদ্ধান্ত হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি ই-এসসিআর পোর্টালে পরিদর্শন ও আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯,২৭৬টি অর্ডার পাঞ্জাবি, তামিল, গুজরাটি, মারাঠি, মালায়ালাম, বাংলা ও উর্দু সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।

CJI
Advertisment