Surat building collapse: শনিবারের সুরাটের বহুতল ভেঙে মৃতের সংখ্যা সাতে পৌঁছেছে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে। গুজরাট পুলিশ বহুতল ধসের ঘটনায় বিল্ডিংয়ের মালিক রমিলাবেন কাকাদিয়া এবং তার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছে।
Advertisment
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে থেকে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে - যাদের সকলের বয়স ২২ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। পুলিশকর্তা জিগনেশ চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর বিধানের অধীনে অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের একটি মামলা দায়ের করেছি" পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে 'বিপজ্জনক' ভবনে যারা বসবাস করছিলেন তাদের থেকে ভাড়া আদায় করার জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিকরা এই বছরের শুরুতে বাড়ির মালিককে একটি নোটিসও দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই নোটিসকে উপেক্ষা করে বাড়ির মালিক বা কেয়ারটেকার কেউই বহুতল মেরামত করেন নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, দমকল বিভাগ জানিয়েছে শনিবার ডিএন নগর সোসাইটিতে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শুরু হওয়া ১৫ ঘন্টার উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। দমকলের প্রধান বসন্ত পারেক জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হয়েছে। “আমরা একটি লাইফ ডিটেক্টর ব্যবহার করেছি উদ্ধার অভিযানে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার রাস্তাগুলি সংকীর্ণ থাকায় উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকে”।
সুরাটের পুলিশ কমিশনার অনুপম গেহলটের মতে, বিল্ডিংয়ের ৩০ টি ফ্ল্যাটের মধ্যে, শুধুমাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি অ্যাপার্টমেন্ট যেগুলি বিভিন্ন রাজ্যের টেক্সটাইল শিল্পের কর্মীদের ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।